ব্যুরো নিউজ,১৩ আগস্ট: আরজি কর কাণ্ডে জনস্বার্থ মামলায় তিনটি আবেদন করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, সিবিআই বা অন্য কোনো নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হোক।যে সংস্থার উপরে তদন্তের দায়িত্ব থাকবে, তার উপর কোনোভাবেই রাজ্য সরকারের প্রভাব থাকবে না। এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত, অবিলম্বে তদন্ত করে প্রকাশ্যে আনার আবেদন জানিয়েছেন মামলাকারীরা।
কি নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের?
মঙ্গলবার জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে দীর্ঘ সওয়াল জবাবের পর কলকাতা পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। আর দেরি না করে রাজ্যের হাতে থাকা সমস্ত তথ্য এবং নথি সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। যে সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছিল পুলিশ তাও সিবিআই এর হাতে তুলে দিতে হবে। কলকাতা হাইকোর্ট এবার আরজিকর কান্ডে সিবিআই তদন্তেরই নির্দেশ দিল।
Paris olympics:এবারের অলিম্পিকের সমাপ্তি।২০২৮ অলিম্পিক্স লস আঞ্জেলাসে
সোমবার মৃতা নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, রবিবার পর্যন্ত দেখবেন। তারপর যদি পুলিশি তদন্তের অগ্রগতি না হয় তাহলে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হবে। কিন্তু তার সঙ্গে তিনি বলতে ভোলেননি সিবিআই তদন্তের সাফল্য সেরকম কিছু নেই। কিন্তু তার দেওয়া সময়সীমা রবিবার পর্যন্ত আর অপেক্ষা নয়। পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, অবিলম্বে সিবিআই কে তদন্তভার দেওয়া হবে। জনস্বার্থ মামলার আবেদনে মামলাকারীদের বক্তব্য, হাসপাতলে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে। এই ব্যাপারে সব সরকারি হাসপাতালের প্রতিটি তলার মূল প্রবেশপথে যাতে সিসিটিভি থাকে সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। তবে এবার পুলিশের হাত থেকে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব সিবিআই এর হাতে তুলে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। পাশাপাশি নির্দেশ দিলেন আগামী তিন সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে সিবিআইকে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা।