ব্যুরো নিউজ,২৪ আগস্ট:গত ৯ আগস্ট সকালে নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাড়িতে যে ফোন গিয়েছিল তাতে বলা হয়, ওই চিকিৎসক আত্মঘাতী হয়েছেন। আর সেই কথা শুনে হাসপাতালে ছুটে যান তরুণী চিকিৎসকের বাবা- মা। শীর্ষ আদালতে প্রশ্ন উঠেছে, ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল কেন? কে বললেন এরকম কথা? আরজিকর কাণ্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একের পর এক প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। রাজ্য সরকার, পুলিশ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নবানে জর্জরিত রাজ্যের আইনজীবীরা।
ক্ষমা চাইতে হবে ‘মমতার সিব্বলকে’,ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন
কোন কোন প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতিরা?
RG Kar case: কোথায় লুকিয়ে রহস্য? নির্যাতিতার সঙ্গে ডিনার ৪ চিকিৎসকের,গোপন জবানবন্দি চাইছে সিবিআই
উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো, আরজিকর কাণ্ড নিয়ে শীর্ষ আদালতের শুনানিতে এক মহিলার কথা উঠে এসেছে। প্রশ্ন উঠছে, তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর আসল কারণ কি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে? শীর্ষ আদালতে শুনানি চলাকালীন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে বিচারপতি পাদ্রীওয়ালা বলেন, এই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার কে? তিনি মহিলা নাকি পুরুষ? জবাবে সিব্বল জানান, তিনি একজন মহিলা। তখনই বিচারপতি বলেন, তার আচরণ অত্যন্ত সন্দেহজনক। তিনি কেন এরকম আচরণ করলেন?
RG Kar case:সুপ্রিম নির্দেশ এবং রাজ্যপালের সঙ্গে কথা, কি জানাচ্ছেন নির্যাতিতার বাবা-মা
তবে সুপ্রিম কোর্ট যার সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছে তার তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। কোন আচরণের কথা বলা হয়েছে বিচারপতি সেটাও উল্লেখ করেননি। তবে সিবিআই এর জমা দেওয়া স্ট্যাটাস রিপোর্ট পড়ার পরেই এই প্রশ্ন করেন বিচারপতি পাদ্রীওয়ালা। আরজি করের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে গোটা দেশ উত্তাল। তার বাড়িতে সেদিন কে ফোন করেছিল, তার পরিচয় এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। শুধু নির্যাতিতার বাবা বলেছেন, আরজিকরের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার ফোন করেছিলেন তাকে। আরজি করে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার পদে ৪-৫জন রয়েছেন। কিন্তু ফোনটা কে করেছিলেন, সেটা এখনো স্পষ্ট নয়। তার নামও এখনো সামনে আসেনি। আদালতেও প্রকাশ করা হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।