ব্যুরো নিউজ,১৩ আগস্ট: আর জি কর কাণ্ডে নিহত চিকিৎসকের মৃত্যু নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সেই জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির এজলাসে সওয়াল জবাব হয়। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, এই মামলা সংক্রান্ত কেস ডায়েরি দুপুর ১টার মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে।
Ration Scam: রেশন দুর্নীতিতে যা ফাঁস হলো, চোখ কপালে ইডির
সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের
এর পরেই হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে রিপোর্ট জমা পড়ে। শুধু কেস ডায়েরী নয়, আরজি কর থেকে ইস্তফা দেওয়া প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগ পত্র এবং নতুন নিয়োগপত্র হাইকোর্টে জমা করা হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডে যে নিহত চিকিৎসকের পরিবারকে হাসপাতালের পক্ষ থেকে কে ফোন করে খবর দিয়েছিল, তা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়। মঙ্গলবার হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকার সেই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে জবাব দেয়।
RG Kar Case: কাঁপতে চলেছে বাংলা!হাজার হাজার মহিলা পথে নামতে চলেছেন আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের জন্য
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, ফোন করা নিয়ে পরিবার যে দাবি করেছে সেটা সঠিক। শুক্রবার সকালে মৃতা চিকিৎসকের পরিবারকে দুটো ফোন করা হয়েছিল। হাসপাতালে সহকারী সুপার এই ফোন করে খবর দিয়েছিলেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে পুলিশ রিপোর্ট নিয়ে ঘটনার তদন্তের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। কোন কোন সময়ে কি কি করা হয়েছে তাও আদালতে জানিয়েছে রাজ্য। তবে আরজি কর থেকে সন্দীপ ঘোষ পদত্যাগ করার পর বিকেলে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল পদে দায়িত্ব দেয় সরকার। আর এটা নিয়েই আদালত প্রশ্ন তোলে। প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘প্রিন্সিপাল সকালে পদত্যাগ করলেন মরালিটি দেখিয়ে, আর আশ্চর্যজনকভাবে রিওয়ার্ড দিয়ে বিকেলেই অন্য জায়গায় বসানো হলো?’
R G Kar update: চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ি ফেরত যেতে হচ্ছে রোগীদের।ভোগান্তি শহর জুড়ে
সন্দীপ ঘোষ এর আইনজীবীকে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘একজন কিভাবে ইস্তফা দেওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ফেরত আনা হলো? আপনি কি এত পাওয়ারফুল লোক? আপনি হাসপাতালের অভিভাবক। যদি নির্যাতিতার প্রতি সহানুভূতি না থাকে তাহলে কার থাকবে? কোনো মানুষ আইনের উর্ধ্বে নয়। এরপরেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, ‘সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগ পত্রে ওই প্রিন্সিপাল কি লিখেছেন সেটা দেখতে চাই।’ পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির কড়া নির্দেশ, “আজ বিকেল তিনটের মধ্যে সন্দীপ ঘোষকে ছুটির আবেদন করে লম্বা ছুটিতে যেতে বলুন। না হলে আমরা প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেব।