ব্যুরো নিউজ,২১ আগস্ট: রাজ্যের পুলিশ ব্যর্থ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই কলকাতার আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য সিআইএসএফের অফিসাররা বুধবার সকালেই হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছেন। আরজিকর কাণ্ডের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার নির্দেশ দেয়, হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে কলকাতা পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে। আর তারপরে CISF মোতায়েন করার নির্দেশ দেয় আদালত।
আরজি কর কান্ডের মধ্যেই খোদ কলকাতার বুকে উদ্ধার রক্তাক্ত মহিলার মৃতদেহ
সকালেই আরজি কর হাসপাতালে CISF অফিসাররা
সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের পুলিশ এবং তৎকালীন আরজিকরের প্রিন্সিপালের ভূমিকা নিয়ে বহু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের কড়া প্রশ্নবানের মুখে পড়ে একেবারে ভ্যাবাচ্যাকা রাজ্য। শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তোলে, কেন মহিলা চিকিৎসকের দেহ যেখানে পাওয়া গিয়েছিল, তার পাশের ঘর এবং শৌচাগার ভাঙার জন্য পুলিশ বাধা দেয়নি? যে সময় এই তদন্তভার কলকাতা পুলিশের হাতে ছিল। একাধিক প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম নির্দেশ, আরজিকরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআইএসএফ। আর তারপরেই বুধবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ আরজি কর হাসপাতালে সিআইএসএফের DIG এবং ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার দুইজন অফিসার পৌঁছে গিয়েছেন। কলকাতা পুলিশের অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালের বহু জায়গা ঘুরে দেখেছেন তারা।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের যে রায়, তা যে কলকাতা পুলিশের ইতিহাসে সবথেকে বড় কলঙ্ক, এমনটাই মন্তব্য করছেন একাধিক প্রাক্তন পুলিশ অফিসাররা। পাশাপাশি এই ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফার দাবীও জানান তারা। যখন আদালতের এই নির্দেশ তখন তৃণমূলের এক মুখপাত্রের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। যদিও পরবর্তীতে আদালতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আরজিকর হাসপাতালে CRPF বা CISF বাহিনী নিরাপত্তার জন্য মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে। আর তারপরই বুধবার সকাল বেলায় সিআইএসএফ অফিসারদের হাসপাতালে পৌঁছে যেতে দেখা গেল। কোন কোন জায়গায় কিভাবে জওয়ানদের মোতায়েন করা হবে, সেই বিষয়টি বিস্তারিতভাবে তারা দেখে নেন।