ব্যুরো নিউজ,৯ সেপ্টেম্বর: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রবিবার তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার তার পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে।এর আগেও তিনি সন্দেশখালি কাণ্ডের প্রতিবাদ করেছিলেন।রাজ্যের বিভিন্ন দুর্নীতির প্রতিবাদে তিনি তৃণমূলের সংসদ পদে আর থাকতে চান না এবং তার সাথে সাথে রাজনীতি থেকেও দূরে থাকতে চান তিনি। রাজ্যসভার সাংসদ পথ ছেড়ে দেবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়াকে পুনর্বিবেচনা করার জন্য ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। কিন্তু জহর তার নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছেন। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জহর কে ফোন করেও কোন কাজ হলো না। তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকলেন। তিনি মমতাকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে তার ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে তিনি নড়বেন না।
আপনার জীবনে কি এই তিন রাশির বন্ধু আছে? জেনে নিন তারা আসলে কেমন স্বভাবের
ফোন করলেন তৃণমূলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
তিনি বলেন তার ইস্তফার কথা সাধারণ মানুষকে জানিয়ে দিয়েছেন। সেখান থেকে তার পক্ষে আর ফেরার সম্ভাবনা নেই। রবিবার সকালে রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন জহর সরকার ।তারপরেই তৃণমূল চাপের মুখে পড়ে যায়।ফলে তাকে ফোন করে বসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। মমতা ব্যানার্জি জহরকে ইস্তফা দেওয়ার ব্যাপারটা পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানান। কিন্তু জহর সরকার নিজের সিদ্ধান্ত থেকে এক চুলও নড়বেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও তথা প্রাক্তন আমলা জহর বলেন তার সিদ্ধান্তের কথা মানুষকে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। সেই সিদ্ধান্ত কখনোই আর পাল্টানো সম্ভব নয়। তার সাথে সাথে তিনি এটাও জানান যে মমতার সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে তার যোগাযোগ থাকবে।
আরজি কর কাণ্ডে নয়া মোড় । থিসিস পেপার ই কি মৃত্যুর কারণ ?
যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে তৃণমূলের তরফ থেকে কোন বিবৃতি বা মন্তব্য করা হয়নি। রবিবার প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও তথা অবসরপ্রাপ্ত আই এ এস অফিসার দাবি করেন যে মমতার সাথে একান্তে তার কথা হয়নি বেশ কয়েক মাস। সেই জন্যই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে তার ইস্তফার কথা জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী আগামী বুধবার ১১ই সেপ্টেম্বর জহর সরকার দিল্লি যেতে পারেন এবং তার পরদিন অর্থাৎ ১২ সেপ্টেম্বর রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি এবং সেই দিনই তার হাতেই ইস্তফা পত্র তুলে দেবেন জহর সরকার বলে সূত্রের খবর। যদিও সরকারিভাবে এখনো এই বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।