parimal dey

ব্যুরো নিউজ,২৬ আগস্ট: আরজিকর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে চলছে প্রতিবাদ এবং আন্দোলন। এই প্রতিবাদের শামিল হয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। পুজো কমিটি গুলো পর্যন্ত রাজ্য সরকারের ৮৫ হাজার টাকা অনুদান গ্রহণ করবে না বলে ঘোষণা করেছেন। এবার আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে বঙ্গ রত্ন পুরস্কার ফেরালেন আলিপুরদুয়ারের শিক্ষক লেখক গবেষক পরিমল দে। রবিবার তিনি রাজ্য সরকারের দেওয়া বঙ্গরত্ন সম্মান ফেরানোর কথা ঘোষণা করেন।

মাত্র ১০ দিনে “স্ত্রী ২” কামাল ৫০০ কোটি টাকা।নারিতন্ত্রের জয়জয়কার

বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বঙ্গরত্ন পুরস্কার

২০১৯ সালে পরিমল দে তার বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বঙ্গরত্ন পুরস্কার পান। তিনি মহাত্মা গান্ধীর উপর গবেষণা করেছেন।গান্ধী গবেষক বলে বিশেষ ভাবে পরিচিত তিনি । মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে তিনি বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন তার মধ্যে ‘বাপু ১৫০’ বইটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। রবিবার তিনি আলিপুরদুয়ারে নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের ডেকে তার বঙ্গরত্ন পুরস্কার ফেরানোর কথা জানান। তিনি জানান পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দুর্নীতিসহ একাধিক কেলেঙ্কারির বিষয়ে তিনি ভীষণভাবে হতাশ। তার ওপর এবার আরজিকর কাণ্ড তাকে শুকাতুর এবং ভারাক্রান্ত করে তুলেছে।

বনের রাজা বাঘের মৃত্যু গুয়াহাটির পথে

তাই প্রতিবাদ স্বরূপ তিনি তার বঙ্গরত্ন পুরস্কার ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি।পরিমল বাবু আরও জানান যে তার নিজের শারীরিক অসুস্থতার জন্য সরাসরি আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না কিন্তু আন্দোলনরত সকলের প্রতি তিনি সহমর্মিতা জানাচ্ছেন। ওই সাংবাদিক বৈঠকে পরিমল বাবু মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান যে এই রাজ্যে নৈরাজ্যের  পরিবেশের অবসান ঘটিয়ে যেন আইনের শাসন ফেরানো হয়। তার সাথে সাথে তিনি আরজিকর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ও সমালোচনা করেন। সব মিলিয়ে  রাজ্য সরকারের বঙ্গরত্ন পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করা একটি বড়সড় প্রতিবাদের নজির রাখলেন পরিমল দে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর