ব্যুরো নিউজ,১৫ অক্টোবর:আজ, মঙ্গলবার কলকাতার রেড রোডে পুজোর কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শহরের কেন্দ্রস্থলে হওয়ায় এই কার্নিভালের কারণে রেড রোড এবং আশেপাশের একাধিক রাস্তা কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার কারণে যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে, এ বছর ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স’-এর ডাকে বিকেল চারটের ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ এই পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।এছাড়াও, ধর্মতলা চত্বরে জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি মানববন্ধন কর্মসূচি চলবে। এই দুটি অনুষ্ঠানের জন্য শহরের বিভিন্ন রাস্তায় দীর্ঘ সময় ধরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে। এর মধ্যেই, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কলেজ স্কোয়ার থেকে পুজো কার্নিভালের বিরুদ্ধে একটি মিছিলে ডাক দিয়েছেন। ফলে, শহর জুড়ে যানজট আরও বাড়তে পারে।এবারের পুজো কার্নিভালে অংশগ্রহণ করবে ৯০টির বেশি পুজো কমিটি। কার্নিভালটি বিকেল সাড়ে চারটের দিকে শুরু হবে এবং তা চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলবে।
আরজি কর হাসপাতালে সাসপেন্ড হওয়া ডাক্তারদের আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত
যান নিয়ন্ত্রণ
তবে দুপুর ২টা থেকে মধ্য কলকাতার একাধিক রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ শুরু হবে। এই সময়ের মধ্যে রেড রোড, কুইন’স ওয়ে, লাভার্স লেন, পলাশি গেট এবং এসপ্লানেড র্যাম্প বন্ধ রাখা হবে।এদিন দুপুর ২টা থেকে উত্তরমুখী হসপিটাল রোডেও বিসর্জনের গাড়ি ছাড়া অন্য সমস্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে। খিদিরপুর রোড ও ডাফরিন রোডে বিধিনিষেধ থাকবে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রেড রোড সংলগ্ন রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ থাকবে।বেলা বারোটার পর মেয়ো রোড, আর এন মুখার্জি রোড, হেয়ার স্ট্রিট, ক্যাথিড্রাল রোড, জওহরলাল নেহরু রোড এবং কুইন’স ওয়ে সহ একাধিক রাস্তায় সব ধরনের পার্কিং বন্ধ রাখা হবে। কার্নিভাল দেখতে আসা দর্শকদের জন্য ময়দান সংলগ্ন এলাকায় বিকল্প পার্কিং ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রেড রোডের পুজো ও দ্রোহের কার্নিভালঃ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
পুলিশের নির্দেশে বলা হয়েছে, দর্শকরা যদি ধর্মতলা বা খিদিরপুর থেকে রেড রোডে আসেন, তবে তাদের জন্য নির্দিষ্ট রাস্তা রয়েছে, যেমন এ জে সি বসু রোড, চৌরঙ্গি রোড এবং খিদিরপুর রোড।পুজোর ছুটি শেষ হওয়ার পর সোমবার থেকে শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু হয়েছে। সন্ধ্যায় অফিসফেরত মানুষের ভিড় এবং যানবাহনের চাপও বেড়ে গেছে। এর ফলে, আজও যানজট বাড়তে পারে।লালবাজারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রায় ২০০০ অতিরিক্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হবে। শহরের বিভিন্ন স্থানে যানজট বাড়ার সম্ভাবনা থাকায় যথাযথ ট্র্যাফিক ব্যবস্থা করা হচ্ছে। লালবাজারের এক কর্মকর্তার মতে, “প্রতি বারই দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামলানো হয়, এ বারও সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”