ব্যুরো নিউজ ,২৫ ডিসেম্বর:নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চ মঙ্গলবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিন্হা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য এবং অশোককুমার সাহার জামিন আবেদন খারিজ করেছে। বিচারপতি জানান, এই মামলাকে অন্য মামলার মতো সাধারণভাবে বিচার করা চলবে না। তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘‘পার্থদের মামলা আইনের প্রেসক্রিপশন হিসাবে গ্রহণ করা যাবে না।’’
বিহারের পুরুষ শিক্ষককে মাতৃত্বকালীন ছুটি! প্রযুক্তিগত ত্রুটিতে শোরগোল
কড়া প্রশ্ন
এই মামলায় রাজ্যের ভূমিকা নিয়েও কড়া প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘সত্য উদ্ঘাটনে রাজ্যের সহযোগিতা করা উচিত। কিন্তু এই মামলায় রাজ্যের গা-ছাড়া মনোভাব স্পষ্ট।’’ জামিন মামলায় এর আগে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জামিনের পক্ষে মত দিলেও বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায় এর বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘‘এই মামলায় তথ্য দেখে মনে হয়, রাজ্য প্রশাসনের একাংশ অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে।’’ বিচারপতি চক্রবর্তী এ দিন সেই পর্যবেক্ষণের সঙ্গেই একমত হয়ে জানান, ‘‘পার্থের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল অনুমোদন দিয়েছেন, কিন্তু বাকিদের ক্ষেত্রে মুখ্যসচিবের অনুমোদন এখনও পাওয়া যায়নি।’’
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ‘নোট ভার্বাল’ ও নয়াদিল্লির সতর্ক প্রতিক্রিয়া
সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ট্রায়াল শুরু করার জন্য অনুমতি চেয়েও রাজ্যের কাছ থেকে তা পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে চার মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো পদক্ষেপ হয়নি। বিচারপতির মতে, এটি প্রমাণ করে, রাজ্যের ভূমিকা যথাযথ নয়।বিচারপতি চক্রবর্তী আরও বলেন, ‘‘পরীক্ষায় দুর্নীতি করে অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া শুধু যোগ্যদের বঞ্চিত করা নয়, কঠোর পরিশ্রম করা পরীক্ষার্থীদের প্রতি চরম অবিচার। আদালত এ ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে নীরব দর্শকের ভূমিকা নিতে পারে না।’’ এই মামলার গুরুত্ব তুলে ধরে বিচারপতি বলেন, ‘‘আর্থিক অপরাধ এবং দুর্নীতির এমন ঘটনার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে।’’