ব্যুরো নিউজ, ২৩ ফেব্রুয়ারি: ডাকঘরের পার্সেলের মধ্যে মাদক পাচারের অভিযোগে স্পেশাল টাস্ক ফর্সের অফিসারেরা গ্রেফতার করেছে ৩ জনকে। হেরোইন তৈরির ওই কাঁচা মালের বাজার দর প্রায় ৮ কোটি টাকা। ৪ কেজি ওই কাঁচা মাল উদ্ধার করে পুলিশ খুঁজছে ওই পাচার চক্রের মাথাদের। ধৃতদের মধ্যে শেখ গুড্ডু, সুরজ শেখ ও সফিইসলাম শেখ। তারা সকলেই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ধৃতদের বিরুদ্ধে বহরমপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে এসটিএফ-এর গোয়েন্দারা। মাদক পাচার আইনের মামলায় ওই ৩ জনকে টানা জেরা করে বাকিদের হদিশ পাওয়া যাবে বলে ধারনা এসটিএফ-এর।
সাত জুটমিল শ্রমিক পেলেন কোর্টের নির্দেশে ২৩ লক্ষ টাকা
জানা গেছে, গোপন সূত্রে এসটিএফ জানতে পারে নাগাল্যান্ড থেকে ডাক বিভাগের পার্সেলের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে পাচার হচ্ছে মাদক। পোস্ট অফিসে চিঠিপত্রের সঙ্গে পার্সেলে আসতো হেরোইন। এরপরেই তা চলে আসতো কলকাতার বিভন্ন ডিলারদের সঙ্গে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে নাগাল্যান্ড ও মনিপুর থেকে বিমানের কার্গোতে হেরোইন ও তার কাঁচা মাল আসতো বিমানবন্দরে। এরপর তা কুরিয়ারের মাধ্যমে পউছে যেত হেরয়িনে ব্যবসায়ীদের কাছে। মুর্শিদাবাদে হানা দিয়ে ২ টি পার্সেল থেকে ৮ কোটি টাকার হেরোইন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। মনিপুর ও নাগাল্যান্ড থেকে পশ্চিমবঙ্গে সড়ক পথে ড্রাগ ও তার কাঁচা মাল পাচারের ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছিল। পুলিশের চেকিংয়ে ধরা পড়ে যাচ্ছিল পাচার করা ড্রাগ। তাই পাচারকারীরা কৌশল বদলায়। উত্তর-পূর্ব ভারতের মাদক পাচারকারীরা তাই পোস্ট অফিসের পার্সেলের মাধ্যমে মাদক পাচার শুরু করে। রেল মাদক পাচারের সময় বেশ কয়েকবার তা ধরা পড়ে পুলিশের হাঁতে। ফলে রেল পথেও পাচার বন্ধ করে দেয় মাদক কারবারিরা। পোস্ট অফিসের কর্তাদের এর আগে পার্সেলের মাধ্যমে মাদক পাচারের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। এরপর তারা স্ক্যানারে চেক করে তবেই পার্সেল দিচ্ছিল কিন্তু, সব পোস্ট অফিসে সে ব্যবস্থা নেই। আর যে সব জায়গায় স্ক্যানার চ্যেকিংয়ের সুযোগ নেই সে গুলোরই সুযোগ নিচ্ছিল মাদক পাচারকারীরা। ধৃত ৩ জনকে বহরমপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এসটিএফ-এর বিশ্বাস ধৃতদের টানা জেরায় ধরা পড়তে পারে মাদক পাচারের চাই- সহ বাকিরা।