ব্যুরো নিউজ, আগস্ট: রেশন দুর্নীতি মামলায় আগেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, রেশন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। তারা ইতিমধ্যেই জেলবন্দি। আর এই রেশন দুর্নীতিতে ইডির নজরে বাংলার আরো অনেক তৃণমূল নেতা এবং ব্যবসায়ীরা রয়েছেন। গত মঙ্গলবার রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে একেবারে কাকভোর থেকে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু জায়গায় হানা দেয় ই ডি। তাদের রেইডের তালিকায় একদিকে যেমন ছিল রাজারহাট, তেমনি অন্যদিকে দেগঙ্গা, রাজারহাটে বারিক বিশ্বাসের ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছিল ইডি। ৯ ঘন্টা তল্লাশির পর ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে নিয়ে যায় তারা।
সৌগত “উগ্র পুরুষবাদী” সংসদে তীব্র কটাক্ষ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা
রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা
পাশাপাশি হানা দিয়েছিল দেগঙ্গার তৃণমূলের ডাকসাইটে নেতা আনিসুর রহমান এবং তার ভাই মুকুল রহমানের বাড়িতে এবং তাদের চালকলে। সেই সময়ে প্রায় ২১ ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পরে ইডি তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে দুটি মোবাইল তদন্তের জন্য নিয়ে চলে যায়। বেশ কিছু ডকুমেন্টস এবং ১৩ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করে ইডি। আর এর পরেই বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান এবং তার ভাই মুকুল রহমান এবং বারিক বিশ্বাসকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়। ইডির তরফে রেশন দুর্নীতির তদন্তে এই তিনজনকে জেরা করার উদ্দেশ্যে তলব করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরের পরে তারা হাজিরা দিতে যান।
২৫০ কিমি পথ পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরল মহারাজ
তারপর দীর্ঘ জেরা করেন ইডির আধিকারিকেরা। সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি তাদের তলব করার সময় সঙ্গে বেশ কিছু ডকুমেন্টস নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছিল। ইডির দপ্তরে সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার সময় সাংবাদিকরা তৃণমূল নেতা আনিসুরকে কিছু প্রশ্ন করলে তিনি নীরব থেকেছেন। দীর্ঘ জেরার পর বৃহস্পতিবার রাতে দেগঙ্গার তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান তার ভাই মুকুল রহমানকে গ্রেফতার করেছে ই ডি। শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করানো হবে। এরপরেই রাজ্যজুড়ে প্রশ্ন উঠেছে, এবার রেশন দুর্নীতিতে ইডির নজরে কারা?