ব্যুরো নিউজ,২০ ডিসেম্বর:সোনামুখীর গভীর জঙ্গলে সম্প্রতি খোঁজ মিলেছে এক বিরল মাংসভুক উদ্ভিদের। নাম ‘সূর্যশিশির’ (বিজ্ঞানসম্মত নাম: Drosera burmannii)। সাধারণত আমাজনের জঙ্গলেই এই উদ্ভিদ দেখা যায়। এটি একটি পতঙ্গভুক উদ্ভিদ, যা স্যাঁতসেঁতে এবং ঢেউখেলানো জমিতে জন্মায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোনামুখী রেঞ্জের বড় নারায়ণপুর মৌজার জঙ্গলে কয়েকদিন আগে এই উদ্ভিদ দেখা গিয়েছে। জঙ্গলে ভ্রমণরত মানুষ প্রথম এই উদ্ভিদ দেখতে পান এবং বন দফতরকে খবর দেন। বনাধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ভিদটি শনাক্ত করে এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেন।
চোখের নিচের কালো দাগ ও মুখের উজ্জ্বলতা কমে যাচ্ছে? তাহলে এই ৫টি খাবার নিয়মিত খান
মাংসভুক উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য
সূর্যশিশির এক ধরনের মাংসভুক উদ্ভিদ, যা পোকামাকড় ধরে তাদের খাদ্য সংগ্রহ করে। বড় উইপোকা, পিঁপড়ের মতো পোকারা এই উদ্ভিদের সংস্পর্শে এলে এটি তাদের আটকে ফেলে। এরপর উদ্ভিদটি নির্যাস গলিয়ে নিয়ে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে।বাঁকুড়ার জঙ্গল মূলত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় শুষ্ক পর্ণমোচী গোত্রের। শাল, মহুয়া, কেন্দু, আকাশমণি, এবং ওষধিগুণসম্পন্ন গাছ-গুল্মে পরিপূর্ণ এই অঞ্চল। সূর্যশিশির উদ্ভিদ এখানে পাওয়া বিরল ঘটনা। স্থানীয় বন দফতরের মতে, এই উদ্ভিদ আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বিশেষত, এটি পোড়ানোর পর উৎপন্ন ছাই ‘স্বর্ণভস্ম’ নামে পরিচিত।
বিবেকানন্দের এই ৭ টি বাণী মানুন, জীবনে সাফল্য কেউ থামাতে পারবে না
রাঢ়বঙ্গের অরণ্যে সূর্যশিশির উদ্ভিদের এই উপস্থিতি প্রকৃতিপ্রেমী ও গবেষকদের কাছে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বিশেষত, এই উদ্ভিদ আমাজনের বাইরে এভাবে বিরল অঞ্চলে পাওয়া প্রকৃতির এক অপার রহস্য।