ব্যুরো নিউজ, ১৪ ডিসেম্বর:রানাঘাটের মাটির নিচে যে প্রাকৃতিক জ্বালানির বিরাট ভাণ্ডার রয়েছে তা আগেই আবিষ্কার করেছে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস কর্পোরেশন (ওএনজিসি)। এবার সেই ভাণ্ডার থেকে জ্বালানি উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এর আগে প্রয়োজনীয় পরিবেশগত ছাড়পত্রসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের প্রথম মহিলা লোকো পাইলট দ্বীপান্বিতা দাস তৈরি করলেন নতুন ইতিহাস
অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা
বৃহস্পতিবার বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানান রানাঘাটে হাইড্রোকার্বনের সম্ভাব্য ভাণ্ডার নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার আগেই কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা (ফিল্ড ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান) তৈরি করা হয়েছে সেই অনুসারে পাইপলাইন বসানো, জমির মূল্যায়ন এবং খনিজ পদার্থ উত্তোলনের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ এগোচ্ছে।চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রানাঘাটে জ্বালানি ভাণ্ডারের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে ঠিক কতটা হাইড্রোকার্বন রয়েছে তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। ২০২৭ সালের মে মাস পর্যন্ত এই অনুসন্ধান চালানোর সময়সীমা রয়েছে। পরবর্তী ধাপে বিশেষজ্ঞরা ওই এলাকার মাটি ও খনিজের সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করবেন।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনে ইসকনের পিঠ ঠেকে গিয়েছে দেওয়ালে
তবে উত্তোলনের কাজ শুরু হওয়ার আগে পরিবেশের উপর সম্ভাব্য প্রভাব বিশ্লেষণ করার জন্য একটি সমীক্ষা চালানো হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামত সংগ্রহ করাও এই প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পরিবেশগত ছাড়পত্রসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাওয়ার পরেই কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।রানাঘাটের জ্বালানি উত্তোলন প্রকল্প নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা ও আশা তৈরি হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে শুধু রানাঘাট নয় সমগ্র অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও বড় ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।