ব্যুরো নিউজ,২ ডিসেম্বর:রাজস্থান সরকার এবার জোর করে ধর্মান্তর ঠেকাতে এক নতুন ধর্মান্তর বিরোধী বিল আনতে চলেছে।মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মার নেতৃত্বে রাজ্য মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই এই বিলের অনুমোদন দিয়েছে এবং আসন্ন বিধানসভা অধিবেশনে এটি পেশ করা হবে।এই বিলে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যদি কেউ জোর করে ধর্মান্তর করে, তবে তাকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।মন্ত্রী জোগারাম প্যাটেল জানিয়েছেন, এই বিলের অধীনে অপরাধ জামিন অযোগ্য হবে এবং ধর্মান্তরের আগে অন্তত ৬০ দিন আগে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারী ব্যক্তির ধর্মান্তর স্বেচ্ছায় নাকি জোরপূর্বক, তা যাচাই করার পরেই অনুমতি দেওয়া হবে।
ইভিএম নিয়ে কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপির পালটা আক্রমণঃ ‘রাহুল-প্রিয়াঙ্কা পদত্যাগ করুন’
রাজ্যবাসীর উন্নতির জন্য সহায়ক
প্যাটেল আরও বলেছেন, ‘এটি একটি সরকারের কঠোর সিদ্ধান্ত, যাতে রাজ্যে জোর করে ধর্মান্তরের ঘটনা বন্ধ করা যায়।’ এই আইন কার্যকর হলে, কেউ বা কোনো প্রতিষ্ঠান ধর্মান্তর করার জন্য কাউকে ভুল বুঝিয়ে, চাপ দিয়ে বা প্রভাবিত করে ধর্ম পরিবর্তন করতে পারবে না। যদি কেউ বা কোনো প্রতিষ্ঠান এই ধরনের কার্যকলাপ করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান থাকবে। এই অপরাধের জন্য জামিন অযোগ্য মামলা দায়ের হবে।উপমুখ্যমন্ত্রী প্রেম চাঁদ বৈরওয়া জানান, ‘ধর্মান্তরের বিরুদ্ধে অন্যান্য রাজ্যের আইন বিশ্লেষণ করা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী এই আইনে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এতে রাজ্যে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন আটকানো সম্ভব হবে।’ মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, ‘রাজস্থান সরকার বেআইনি ধর্মান্তর ঠেকাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
শমীক ভট্টাচার্যঃ ‘ভারতীয় রাষ্ট্রনায়কদের ভুল সিদ্ধান্তের ফল’ বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর চলমান অত্যাচার
এটি উল্লেখযোগ্য যে, রাজস্থানই প্রথম নয়। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে ইতিমধ্যেই ধর্মান্তর বিরোধী কঠোর আইন রয়েছে। ২০২২ সালে হিমাচল প্রদেশও এই ধরনের আইন আরও কঠোর করেছে। এরই মধ্যে রাজস্থান সরকারও একই পথে হাঁটছে এবং প্রস্তাবিত এই নতুন বিলটি রাজ্যের সমাজে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।এছাড়া, রাজস্থান মন্ত্রিসভা ধর্মান্তর বিরোধী বিলের পাশাপাশি রাজ্যটির শিল্প এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও জোরদার করার জন্য ৯টি নতুন নীতি অনুমোদন করেছে। রাজ্যের উন্নয়নের জন্য এই নীতিগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তা রাজ্যবাসীর উন্নতির জন্য সহায়ক হবে।