ব্যুরো নিউজ,১২ আগস্ট: মহিলা ট্রেনি চিকিৎসকের মৃত্যুর পরেই আরজি করের প্রিন্সিপাল ডঃ সন্দীপ ঘোষ বলেছিলেন রাতে একা সেমিনার হলে থাকা উচিত হয়নি তার। আন্দোলনকারীদের এমনটাই অভিযোগ। আর প্রিন্সিপালের এই মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্যে। ইতিমধ্যেই আরজি কর কাণ্ডে সুপার বদলি হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু আন্দোলনকারীদের দাবি, প্রিন্সিপালের বদলি। আর এর মধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দাবি করেছেন, আরজি করের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা আতস কাঁচের নিচে রাখা উচিত।
মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেত্রীর স্বামীর বিরুদ্ধে এক মহিলাকে নির্যাতনের অভিযোগ
শুভেন্দু আর কি বললেন?
শুভেন্দু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, ‘এর আগে দুইবার আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ থেকে প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দপ্তর অপসারণ করে। কিন্তু রহস্যজনকভাবে বারবার নিজের জায়গায় তিনি ফিরে গিয়েছেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরজি করে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বদলির নির্দেশিকা বদলে যায়। একবার মুর্শিদাবাদে বদলি হলেও মাসখানেকের মধ্যে ফের আরজি করে তিনি ফিরে আসেন। সন্দীপ ঘোষ প্রভাবশালী। তার এই ভূমিকা পুলিশের তদন্তের ক্ষেত্রে সামনে আসবে কিনা সেটাই ভাবছে আমজনতা। আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তই প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করবে।’
Paris Olympics: বিনেশ ফোগাতের রুপোর দাবির রায় ১৩ আগস্ট
আরজিকর মেডিকেল কলেজের সুপার ডক্টর সঞ্জয় বশিষ্ঠকে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর অপসারণ করে। সেই জায়গায় ডক্টর বুলবুল মুখোপাধ্যায় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তিনি ওই হাসপাতালেরই ডিন। প্রসঙ্গত, আরজি করের চেস্ট মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের ট্রেনি ওই মহিলা চিকিৎসককে ‘ধর্ষণ, খুন’ করা হয় এক সেমিনার হলে। আর তাতে হাসপাতালের সুপারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এদিকে পুলিশের তরফে এসিপি নর্থ চন্দন গুহকে অপসারণ করা হয়েছে। কারণ ঘটনার পরে প্রাথমিকভাবে পুলিশের তরফে নাকি মৃত চিকিৎসকের বাড়িতে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানানো হয়েছিল। কিভাবে একটি রক্তাক্ত দেহ দেখে পুলিশ এরকম দাবি করল, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।