ব্যুরো নিউজ,১৩ আগস্ট: আরজিকর কান্ডের তদন্ত শেষ করার জন্য একেবারে সময় বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজিকর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ছয় দিনের মধ্যে চার্জশিট পেশ করার জন্য সময় রয়েছে পুলিশের হাতে। আর এখানেই উঠে যাচ্ছে একের পর এক প্রশ্ন। যেখানে পোস্টমর্টেম রিপোর্টের সঙ্গে ফরেন্সিক সহ বিভিন্ন রিপোর্ট এই রকম তদন্তের ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে এই বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তা কি করে সম্ভব?
RG Kar Case: কাঁপতে চলেছে বাংলা!হাজার হাজার মহিলা পথে নামতে চলেছেন আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের জন্য
মুখ্যমন্ত্রীর তদন্তের সময়সীমা নিয়ে বিভিন্ন মতামত
মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের নারকীয় হত্যাকাণ্ডে তদন্ত বেঁধে দেওয়ার ফলে কি কি হতে পারে? প্রাক্তন পুলিশকর্তাদের অনেকেই বলছেন, ‘তড়িঘড়ি তদন্তের কাজ করতে গিয়ে পুরোটাই ঘেঁটে যেতে পারে। এমনও হতে পারে, আসল বিষয়টি দেখাই হলো না।’ এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক পঙ্কজ দত্তের কথায়, ‘এইরকম ঘটনার তদন্ত শেষ করতে সময় লাগে। কারণ ডিএনএ, ফরেন্সিক পরীক্ষা করতেই হবে। আর সেটা তিন বা পাঁচ দিনের মধ্যে শেষ হবে কখনোই বলা যায় না।’ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই মামলায় ফরেন্সিক রিপোর্ট। যা আসতে ১৫ দিন থেকে এক মাস সময় লেগে যায়। এরপর ডিএনএ রিপোর্ট প্রয়োজন। তাছাড়া আরো কেউ জড়িত কিনা তাদের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা হতে পারে।
নবীর নাকি প্রবীণ কে হবেন ইডির পরবর্তী প্রধান
আরো অন্যান্যদের ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে সময় লাগতে পারে। ফলে আসল অপরাধীকে খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়ার লক্ষ্যেই তদন্ত এগোনো উচিত বলে মনে করেন অনেকে। এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এরকম নির্দেশ দেখা গিয়েছে। ২০২২ সালে হরিশ মুখার্জি স্ট্রিটে অশোক শাহ এবং তার স্ত্রী খুন হন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দেন, ৯৯% তদন্ত হয়েছে। দ্রুতই অভিযুক্তরা ধরা পড়বে। তারপর কয়েকজন গ্রেফতার হলো। মূল অভিযুক্ত সোমবার পর্যন্ত অধরা বলেই জানা গিয়েছে। ঠিক একই রকমভাবে কামদুনি কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর ‘চাপে পড়ে’ সিআইডি তাড়াহুড়ো করে চার্জশিট জমা দিতে গিয়ে প্রচুর ভুলভ্রান্তি করে। যা পরবর্তীতে ধরা পড়ে আবার ফের অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করতে হয়।
পুলিশের অন্দরের কথায়, তাড়াহুড়ো করে কোনো তদন্ত করতে গেলে চার্জশিট দুর্বল হয়ে যায়। আর তা আদালতে জমা পড়লে সাজাপ্রাপ্ত কেউ হাইকোর্টে বেকসুর হয়ে যান। অথবা সাজা কমে যায়। এক্ষেত্রে মৃতার বাবা বলেছেন, ‘তাড়াহুড়ো নয়, আমরা সঠিক বিচার চাই।’ এর মধ্যেই লালবাজারে গিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে দেখা করেছেন। নির্যাতিতা মৃতার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তারা।