ব্যুরো নিউজ,১৪ ফেব্রুয়ারি :২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, দক্ষিণ কাশ্মীরের লেথপোরায় যে নাশকতা ঘটেছিল, তা এখনো স্মৃতির পর্দায় স্থায়ী এক ছাপ রেখে গেছে। ছ’টি বছর পার হলেও, শহিদদের পরিবারের মাঝে যে হাহাকার, তা আজও কমেনি। দেশের ১৬টি রাজ্যের ৪০টি পরিবার, যাদের প্রিয়জনেরা এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন, আজও সেই শোকের সঙ্গে বেঁচে আছেন। পরিবারগুলো তাদের হারানো প্রিয়জনের ছবিকে বুকে ধরে বছরের পর বছর কাটিয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে হাওড়ার বাবলু সাঁতরা, নদিয়ার সুদীপ বিশ্বাসদের মতো পরিবারের সদস্যরা এখনও এক বছরের বার্ষিকিতে সেই শোককে নিজেদের মধ্যে অনুভব করে।
শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা
লেথপোরার ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে প্রতি বছর সিআরপিএফ শহিদদের শ্রদ্ধা জানায়। প্রতি বার্ষিকীতে জম্মু-কাশ্মীর বিজেপি শহিদদের স্মরণ করে। তবে, এই স্মরণ অনুষ্ঠান বা শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে কি তাদের শোক কখনো পূর্ণ হবে? বাবলুর স্ত্রী মিতা চাকরি পেয়েছেন, সুদীপের মায়ের পেনশন চালু হয়েছে, কিন্তু তাদের কাছে এই ক্ষতি তো কোনো কিছুতেই পূর্ণ হতে পারে না। বাবলুর বোন ঝুমার কথায়, “এতগুলো বছর কেটে গেল, এখনও তো কোনও উত্তর পাওয়া গেল না। এত বড় ঘটনা ঘটে গেল, অথচ সবাই যেন সব ভুলে গেছে। শুধু এই দিনটা এলেই যেন স্রেফ নিয়ম মেনে একটু মনে করা। ব্যস।”
এবারও, গত পাঁচ বছরের মতো, লেথপোরার নাশকতার স্থলে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাবে সিআরপিএফ। তবে এখন জম্মু-কাশ্মীরের মসনদে রয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্সের সরকার। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো কর্মসূচির ঘোষণা হয়নি। ন্যাশনাল কনফারেন্সের এক নেতার মতে, এই বিষয়টির সাথে রাজ্য সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে, জম্মু-কাশ্মীর বিজেপি থেকে এর বিরুদ্ধে কটাক্ষ এসেছে।
কাজের চাপ দূর করার সহজ এবং কার্যকরী উপায় এই আসন
বিজেপি মুখপাত্র আলতাফ ঠাকুর মন্তব্য করেছেন, “এনসি, পিডিপি- এই দলগুলির ভারত, দেশের সেনা বা আধাসেনাদের প্রতি কোনো ভালোবাসা নেই। ওরাই আবার তা প্রমাণ করে দিল। মুখ্যমন্ত্রী পারতেন না শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে?” ২০১৯ সালের পুলওয়ামা নাশকতার পর থেকে এই ঘটনা শুধুমাত্র রাজনীতি আর বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, যার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়নি। ৬ বছর পার হলেও, আজও শহিদদের পরিবার তাদের প্রিয়জনদের হারানোর প্রশ্নে অনবরত খুঁজে বেড়াচ্ছে উত্তর।