ব্যুরো নিউজ,২০ আগস্ট: দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যে আলুর দাম আকাশ ছোঁয়া। এবার সেই দাম নিয়ন্ত্রণে নবান্নে বৈঠকে বসছেন রাজ্যের মন্ত্রী ও আলু ব্যবসায়ীরা। গত জুলাই মাসে পাঁচ দিনের ধর্মঘট ডেকেছিলেন আলু ব্যবসায়ীরা । তাতেই আলুর দাম ৪০ টাকা ছাড়িয়ে যায় । কেজিপ্রতি আলুর দাম নাগালের বাইরে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথে নামেন। পথে নামে কলকাতা কর্পোরেশন ও রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রক। তাতে সামান্য দাম কমলেও আবার আলুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। জ্যোতি আলু যা সামান্য দামে বিক্রি হওয়ার কথা তা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। যদিও সুফল বাংলায় তার দাম ২৮ টাকা প্রতি কেজি।
বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন?রাজ্যপাল দিল্লি যেতেই ঘুম উড়েছে তৃণমূলের
ধর্মঘটে যাওয়ার হুঁশিয়ারি পাইকারি আলু ব্যবসায়ীদের
পাইকারি আলু ব্যবসায়ীরা সোমবার থেকে ধর্মঘটে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আর তাতেই রাজ্য সরকার বরম্বনায় পড়ে যায়। মঙ্গলবার রাজ্যের আলু ব্যবসায়ীদের নিয়ে কৃষি ও কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্তারা বৈঠকে বসার আহ্বান জানান । তাতেই পিছিয়ে যায় ব্যবসায়ীদের ডাকা ধর্মঘট। মন্ত্রী জানিয়েছেন আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা মিটবে। ধর্মঘটের কথা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তেই আলুর দাম দু থেকে তিন টাকা কেজি প্রতি বেড়ে যায় । ইতিপূর্বে আলু চাষীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নাও বৈঠকে যোগ দিয়ে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি বলেন ভিন রাজ্যে আলু পাচারের জন্যই পশ্চিমবঙ্গে দাম বাড়তে পারে আলুর। তাই এখনই ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোয় স্থগিতাদেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
Rg Kar Update:”জলদি করো”তড়িঘড়ি সৎকার নির্যাতিতার দেহ,পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন
তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ব্যবসায়ীরা। বেচারাম মান্না জানিয়েছেন মঙ্গলবার বৈঠকের পরে সমস্যা মিটবে, ভিন রাজ্যে আলু পাচার করলে দাম কতটা বাড়বে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। ব্যবসায়ীরা চাইছেন পশ্চিমবঙ্গের আলু ভিন্ন রাজ্যে পাঠাতে । কিন্তু সেই মতের বিরোধিতা করছেন রাজ্যের কৃষি ও কৃষি বিপণন মন্ত্রী। তিনি চান দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসুক আলুর দাম আর সেজন্যই মঙ্গলবার নবান্নের বৈঠকের দিকে চেয়ে আছেন আলু ব্যবসায়ী ও রাজ্যের সাধারণ মানুষ।