ব্যুরো নিউজ,২১ ফেব্রুয়ারি :আজ, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে, একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে—রোগী এবং চিকিৎসকের সম্পর্ককে আরও নিবিড় করতে রোগীর মাতৃভাষায় প্রেসক্রিপশন লিখতে। তিনটি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে ‘সম্ভব হলে রোগীর মুখের ভাষাতেই লেখা হোক চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে আজ নেহরু চিলড্রেন্স মিউজিয়ামের সভাঘরে। আয়োজক সংগঠনগুলি হল লিভার ফাউন্ডেশন, অ্যাসোসিয়েশন অব দ্য সার্জনস অফ ইন্ডিয়া (রাজ্য শাখা) এবং রাজ্য অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশন।
কলকাতা পুরসভার বাজেটঃ ঘাটতি বেড়ে যাওয়া ও কর সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রায় ব্যর্থতা
রোগীরা বিভ্রান্ত হন কিভাবে?
চিকিৎসকরা জানান, রোগীকে পরীক্ষা করার পর যে প্রেসক্রিপশন দেওয়া হয়, তাতে সাধারণত ওষুধের নাম, প্রয়োগের পদ্ধতি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ লেখা থাকে। কিন্তু, ডাক্তারি শিক্ষা ইংরেজি ভাষায় হওয়ায় অধিকাংশ চিকিৎসকই তাদের প্রেসক্রিপশন ইংরেজিতে লিখে থাকেন। যদিও চিকিৎসকরা রোগীকে বুঝিয়ে দেন, অনেক সময় রোগী বা তার পরিবার প্রেসক্রিপশন বুঝতে সমস্যায় পড়েন এবং তারা সাহায্যের জন্য ভরসা করেন ওষুধের দোকান বা আরও শিক্ষিত মানুষের কাছে। ফলে, অনেক সময় রোগীরা বিভ্রান্ত হন, এবং পরবর্তীতে ভুল তথ্যও পেয়ে যেতে পারেন।
লিভার ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা চিকিৎসক, অভিজিৎ চৌধুরী এই প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনার আহ্বান জানাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বের অনেক দেশ, যেমন চিন, জাপান এবং বাংলাদেশে এই চর্চা প্রচলিত। মনে রাখতে হবে, চিকিৎসকের সঙ্গে রোগীর সম্পর্কটি এক ধরনের বিশ্বাস এবং ভালোবাসার সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের ভাষা হতে হবে রোগীর মুখের ভাষা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এটি কিন্তু ইংরেজি ভাষাকে অস্বীকার করার কথা নয়। বরং এটি রোগীর উপকারের জন্য একটি মানবিক পদক্ষেপ হতে পারে।’’
ফারহা খানের হোলি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়
অভিজিৎ চৌধুরী আরও বলেন, ‘‘যদি চিকিৎসক রোগীর ভাষায় প্রেসক্রিপশন লিখতে না পারেন, তবে ইংরেজিতে লেখা থাকুক, কিন্তু অভ্যাস পরিবর্তনের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।’’এই আলোচনা সভার মাধ্যমে আয়োজকরা চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন, যাতে তারা রোগীদের সুবিধার জন্য এবং তাদের প্রতি মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে তাদের মাতৃভাষায় প্রেসক্রিপশন লেখার প্রতি আরও মনোযোগী হন। এর ফলে, রোগীরা তাদের চিকিৎসা নিয়ে আরও পরিষ্কার ধারণা পেতে পারেন এবং চিকিৎসকের প্রতি আস্থাও আরও দৃঢ় হবে।