ব্যুরো নিউজ,৩০ সেপ্টেম্বর:বিকেল গড়াতে না গড়াতেই শহরের বাজারগুলোতে কেনাকাটার ভিড় বেড়ে গেছে। মহালয়ার আগে শেষ ছুটির দিন রবিবার শহরের বিভিন্ন দোকানে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এটি যেন এক জনপ্লাবন। অনেকেই কেনাকাটা করতে ব্যস্ত, সেইসঙ্গে আশপাশের পুজোর মণ্ডপও ঘুরে দেখছেন।চলতি বছর চিকিৎসক-ছাত্রী খুন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলনের কারণে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে দেরিতে।
জাপানের ‘এশিয়ান নেটো’, চিনের দাদাগিরি মোকাবেলায় নতুন পদক্ষেপ
পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে
তবে গত দুই সপ্তাহে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। নিউ মার্কেটে দুপুর থেকে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে, যা দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তোলে। এক বিক্রেতা বললেন, “ভিড় তো হচ্ছে, তবে মাস খানেক আগে শুরু হলে ভাল হত।”দক্ষিণের গড়িয়াহাটেও একই চিত্র দেখা যায়। দুপুরের পর ফুটপাতে হাঁটাচলা করা দুষ্কর হয়ে ওঠে। তরুণীরা কানের দুল কিনতে গিয়ে বললেন, “ভিড়ের কারণে ফুটপাতে দাঁড়াতে দমবন্ধ হয়ে আসছে। এখন কীভাবে বাকি জিনিস কিনব জানি না।”বাজারে কেনাকাটার ফাঁকে অনেকেই পুজোর মণ্ডপগুলোতে ঢুঁ মেরে আসছেন। গড়িয়াহাটের কাছে চক্রবেড়িয়ার মণ্ডপ ঘুরে দেখা মহুয়া পাত্র বললেন, “বাজার করতে এসে ছেলেকে নিয়ে এখানে আসতে হলো। পুজোর জন্য ভিড় ঠেলে আবার আসতে হবে না, এটা ভালো।”শহরের শপিং মলগুলোতেও ভিড়ের চাপ তীব্র। প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের একটি শপিং মলে দুপুরের পর বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয় যে, গাড়ি রাখার জায়গা খালি নেই। শপিং মলগুলিতে বিকেল ও সন্ধ্যার দিকে সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে সেখানে বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছিল।
আরজি কর মামলার শুনানিঃ সুপ্রিম কোর্টে সময় পিছিয়ে দুপুর ২টোয়
প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের একটি শপিং মলের জেনারেল ম্যানেজার দীপ বিশ্বাস জানান, “গত সপ্তাহে শপিং মলে এক লাখের বেশি মানুষ এসেছিলেন। আজকের দিনে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে।”এই ভিড়ের মধ্যে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কথোপকথন ও বিভিন্ন ঘটনার মাঝে এক উৎসবের আমেজ বিরাজমান। শহরের প্রতিটি কোণায় পুজোর আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে, যা এই মহালয়ার আগে শহরকে রঙিন করে তুলেছে।