ব্যুরো নিউজ,৭ জানুয়ারি:সাতসকালে নেপালে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে, যা তীব্র কম্পন সৃষ্টি করেছে এবং আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চলে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। ভূমিকম্পটি তিব্বতের অঞ্চল থেকে সৃষ্টি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রথম কম্পনটি হয় সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে, যার তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.১। এই কম্পনের পর পরই একে একে আরও কম্পন অনুভূত হয়, যার মধ্যে দ্বিতীয়টি ছিল ৪.৭ মাত্রার এবং তৃতীয়টি ছিল ৪.৯ মাত্রার। তৃতীয় কম্পনের পরপরই আরো একটি ৫ মাত্রার আফটারশক অনুভূত হয়।
এলাচ শুধু রান্নার কাজে নয়, হতে পারে আপনার সৌভাগ্যের চাবিকাঠিও
ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
এই ভূমিকম্পের ফলে, নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু সহ উত্তরবঙ্গ, বিহারের উত্তরাংশ এবং ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী অঞ্চলেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। বিশেষ করে বিহারের উত্তরাংশে এবং নেপাল সীমান্তে কম্পন বেশি শক্তিশালী ছিল। উত্তরবঙ্গ, সিকিম ও অসমের কিছু অংশেও ভূমিকম্পের অনুভূতি পাওয়া গেছে। ভুটান এবং চীনও এর প্রভাব থেকে বাদ পড়েনি।এদিকে, তিব্বতের শিগাতসে শহরেও একটি ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে বলে চীনা সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। শিগাতসে তিব্বতের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর, যা এর মধ্যে গত পাঁচ বছরে বেশ কয়েকটি ভূমিকম্পের সাক্ষী হয়েছে। তবে, মঙ্গলবার সকালের ভূমিকম্পটি ছিল তীব্রতার দিক থেকে অতিরিক্ত।ভূমিকম্পের তীব্রতার কারণে নেপাল এবং তার আশপাশের অঞ্চলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কাঠমান্ডু শহরে, ভূমিকম্পের পর অনেক মানুষ আতঙ্কিত হয়ে তাদের বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় চলে আসেন। ভূমিকম্পের কারণে শহরজুড়ে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
দেহের ভারসাম্য ঠিক রাখতে রোজ করুন এই সহজ আসনটি, আপনার জীবন একেবারে পাল্টে যাবে
এটি শুধুমাত্র নেপালের জন্য নয়, বরং ভারতের কিছু অংশের জন্যও একটি বড় বিপদসীমা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিহারের পটনা শহর সহ কয়েকটি অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে এবং এই অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় এবং ইউরেশীয় তাপমাত্রা প্যানেলের সংঘর্ষের কারণে এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বেশি থাকে।এটি নতুন নয়, এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরেও নেপালে একটি ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল, যার ফলে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করছেন, এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।