ব্যুরো নিউজ ০১ জুলাই : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার সারা দেশের চিকিৎসকদের ‘চিকিৎসক দিবস’ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি ভারতের স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামোতে চিকিৎসকদের ব্যতিক্রমী অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসকদের শুভেচ্ছা বার্তা
এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বে টুইটার) এক আবেগঘন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদী চিকিৎসকদের দক্ষতা, অধ্যবসায় এবং সহানুভূতির কথা উল্লেখ করে তাদের “স্বাস্থ্যের রক্ষক এবং মানবতার স্তম্ভ” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি তার পোস্টে লিখেছেন, “সকল কঠোর পরিশ্রমী ডাক্তারদের #DoctorsDay এর শুভেচ্ছা। আমাদের ডাক্তাররা তাদের দক্ষতা এবং অধ্যবসায়ের জন্য নিজেদের পরিচিতি তৈরি করেছেন।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “তাদের সহানুভূতির মনোভাবও সমানভাবে উল্লেখযোগ্য।” তিনি যোগ করেন, “তারা সত্যিই স্বাস্থ্যের রক্ষক এবং মানবতার স্তম্ভ। ভারতের স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তাদের অবদান সত্যিই অতুলনীয়।”
প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা নাগরিকদের মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগের প্রতি শুধু একটি শ্রদ্ধাঞ্জলিই নয়, ভারতের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় চিকিৎসকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকারও একটি অনুস্মারক।
শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ‘অতুলনীয় সাহস’-কে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর প্রয়াণ দিবসে ।
চিকিৎসক দিবসের ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট
ভারতে প্রতি বছর ১লা জুলাই দেশজুড়ে চিকিৎসক দিবস পালিত হয়। এই দিনটি কিংবদন্তী চিকিৎসক এবং পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী ডঃ বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে পালিত হয়। ১৯৯১ সাল থেকে এই দিনটি জাতীয় চিকিৎসক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। চিকিৎসকদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানোর জন্যই এই দিনটি উৎসর্গীকৃত, যারা মানুষের জীবন বাঁচাতে এবং সুস্থ জীবন নিশ্চিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।
বিশ্ব পরিবেশ দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা: ‘ পৃথিবীকে রক্ষার প্রচেষ্টা আরও গভীর করুন’
কোভিড-১৯ এবং পরবর্তীকালে মোদী সরকারের সহায়তা
কোভিড-১৯ মহামারীর কঠিন সময়ে ভারতের চিকিৎসা পেশাজীবীরা সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার এই সংকটময় সময়ে এবং পরবর্তীকালেও চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
- সুরক্ষা ও সমর্থন: মহামারীর শুরুতে চিকিৎসকদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE), মাস্ক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছিল। তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল।
- বিমা সুরক্ষা: কোভিড-১৯ মোকাবিলায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সরকার বিশেষ বিমা প্রকল্পের ঘোষণা করেছিল, যা তাদের এবং তাদের পরিবারের জন্য আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
- স্বাস্থ্য পরিকাঠামো শক্তিশালীকরণ: মোদী সরকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছে। নতুন হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ এবং গবেষণাগার স্থাপন করা হয়েছে, যা চিকিৎসকদের জন্য উন্নত কাজের পরিবেশ এবং প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরি করেছে।
- কর্মসংস্থান ও সুযোগ বৃদ্ধি: চিকিৎসকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে সরকার নতুন পদের সৃষ্টি করেছে এবং গ্রামীণ ও দুর্গম এলাকায় চিকিৎসকদের নিয়োগের উপর জোর দিয়েছে, যাতে দেশের প্রতিটি প্রান্তে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া যায়।
এই উদ্যোগগুলি ভারতের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে এবং চিকিৎসকদের কাজের প্রতি সরকারের অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে।