ব্যুরো নিউজ, ১০ অক্টোবর :আফগানিস্তানে তালিবানরা ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। গত কয়েক বছরে সীমান্তে সংঘর্ষ বেড়েই চলেছে। যা সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর মাধ্যমে স্পষ্ট। সম্প্রতি, সীমান্তে কাঁটাতার মেরামত করার সময় আফগান ও পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়, যার ফলে বেশ কয়েকজন সেনা সদস্য নিহত হয়।
চাঁদের দিকে নতুন অভিযানে ভারত-জাপান সহযোগিতা
সীমান্তে আফগানি হামলা
জানা যায়, আফগান সেনারা পাক-আফগান সীমান্তের নৌশকি-গজনি সেক্টরে একটি চেকপোস্টে হামলা চালানোর পর এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। প্রথমে আফগান সেনারা পাকিস্তানি বাহিনীর উপর হামলা চালায়। যা পাক সেনাদের পাল্টা প্রতিরোধের সৃষ্টি করে। এই গুলি বিনিময়ে আফগান তালিবানদের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়।
চাপ বাড়ছে কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনারে বিনীতের ওপর
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এই ঘটনার পর একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা সীমান্ত রক্ষা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আফগানিস্তানের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
চাপের মধ্যেও ঠান্ডা মাথার তারকা হলেন রিঙ্কু সিং
২০১১ সালের পর, তালিবানরা পাকিস্তানের সমর্থনে আফগানিস্তানে ক্ষমতা অর্জন করে। তবে পাকিস্তানের সেই আশা, যে জঙ্গিবাদের হুমকি কমবে, তা বাস্তবায়িত হয়নি। বর্তমানে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে ১৮টি সীমান্ত ক্রসিং পয়েন্ট রয়েছে, যার মধ্যে তোরখাম ও চমন সবচেয়ে ব্যস্ত।
সীমান্তের ইতিহাস ১৮৯৩ সালের ডুরান্ড লাইন চুক্তির সাথে যুক্ত, যা আফগানিস্তান স্বীকৃতি দেয় না। পাকিস্তান এটিকে স্থায়ী সীমান্ত হিসেবে মেনে নেয়। এই পরিস্থিতি দুই দেশের সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলছে।