‘ভুলভুলাইয়া ৩’

ব্যুরো নিউজ ১৫ নভেম্বর : দীপাবলির সময়ে মুক্তি পাওয়া ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ ছবিটি দর্শকদের ভৌতিক এবং মজার গল্পের মিশেলে আকৃষ্ট করেছে। ছবির প্লটেও দেখা যায় একটি পুরনো দুর্গ এবং ভূত মঞ্জুলিকাকে ঘিরে নানা রহস্য, আর যদি এমন একটি দুর্গ দেখতে চান, তবে আপনাকে মধ্যপ্রদেশের ওরছা দুর্গে যেতে হবে। এটি নিওয়ারি জেলার একটি ছোট শহর ওরছায় অবস্থিত এবং পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে বেতয়া নদী।

বালুরঘাট পুরসভার অ্যাকাউন্ট থেকে ১৪ লাখ টাকা উধাওঃ রহস্য ঘিরে চলছে তদন্ত

রানি স্বপ্নাদেশ পেয়ে নির্মাণ করেছিলেন দুর্গ

ওরছা দুর্গটির ইতিহাস বেশ পুরনো এবং রাজা রুদ্র প্রতাপ সিং ১৫০১ থেকে ১৫৩১ সাল পর্যন্ত এটি নির্মাণ করান। দুর্গের ভিতরে রয়েছে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ, ঝুলানো বারান্দা এবং চতুর্ভুজ মন্দির, যা ওরছার রানি নির্মাণ করেছিলেন। পাশাপাশি রাজ মন্দিরও রয়েছে, যা রাজা মধুকর শাহ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।দুর্গের প্রধান প্রবেশদ্বারটি কাঠের তৈরি এবং সেখানে রয়েছে লোহার মোটা কাঁটা, যা ছিল হাতি দিয়ে প্রবেশের সময় রাজারা প্রতিরোধ করার জন্য। এই দুর্গের মধ্যে রয়েছে রাজা মহল, জাহাঙ্গির মহল, শিস মহল, বাগিচা এবং মন্দির।রাজা মহলটি রাজাদের থাকার জন্য ছিল এবং এখানে রাজ দরবার অনুষ্ঠিত হত। মহলের দেয়াল এবং ছাদে দেবদেবী, পশুপাখির মূর্তি এবং রঙিন কারুকাজ রয়েছে। একটি অংশ পরে রামরাজা মন্দিরে রূপান্তরিত হয়, যা রানি স্বপ্নাদেশ পেয়ে নির্মাণ করেছিলেন।এছাড়া শিস মহলটি ছিল রাজা উদয়িত সিংয়ের নির্মিত একটি বিলাসবহুল ভবন, যেটির কিছু অংশ বর্তমানে একটি হোটেল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফুল বাগ, যা নদীর তীরে অবস্থিত, গরমের সময়ে তাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। এখানে একটি ফোয়ারা রয়েছে, যা বৃষ্টির মতো অনুভূতি দেয়।

৪০ লক্ষ টাকার  হীরের আংটি নিয়ে শুরু হওয়া মামলায় আদালতের রায়

এই দুর্গে ভারতীয়দের প্রবেশমূল্য মাত্র ১০ টাকা। ঝাঁসি জংশন রেল স্টেশন থেকে ওরছা দুর্গের দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার, এবং গোয়ালিয়র বিমানবন্দর থেকে ১৪৩ কিলোমিটার দূরে। হাওড়া থেকে চম্বল এক্সপ্রেসে ঝাঁসি যাওয়া যায় এবং সেখান থেকে গাড়ি করে ওরছা দুর্গে পৌঁছানো সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর