রাজীব ঘোষ, ৩০ আগস্ট: NSC না PPF কীসে লাভ বেশি? টাকা সঞ্চয়ের জন্য দেশের অধিকাংশ মানুষ নিরাপদে কোনও প্রকল্পকেই বেছে নিতে পছন্দ করেন। তার কারণ, কষ্ট করে উপার্জন করা টাকা যাতে নষ্ট না হয়ে যায়। তার প্রভাব যাতে ভবিষ্যতে না পড়ে। সেই কারণেই কম সুদে হলেও নিরাপদ কোনও স্কিম বেছে নেন।

সোনা নাকি রুপো? লাভ কীসে? 

নিশ্চিন্তে নিরাপদে ঝুঁকিহীন ভাবে টাকা বিনিয়োগ করতে গেলে সবচেয়ে বেশি যে জায়গাটায় মানুষ এখনও পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন, সেটি হল পোস্ট অফিস। যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা সরাসরি পোস্ট অফিস পরিচালনা করা হয় সেই কারণে এখনও অধিকাংশ দেশবাসী এখানে টাকা বিনিয়োগকে নিরাপদ বলে মনে করেন। এবার পোস্ট অফিসের গুরুত্বপূর্ণ দুটি স্কিম নিয়ে আলোচনা করা হবে। যেখানে এই স্কিম দুটিতে টাকা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন সকলেই। তার কারণ একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পরে এই স্কিম দুটি থেকে একটা ভালো অংকের টাকা রিটার্ন পাওয়া যায়। পাশাপাশি, যে টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে সেটিও ঝুঁকিহীন থাকে। কিন্তু এই দুটি স্কিমের মধ্যে কোন স্কিমে টাকা বিনিয়োগ করলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে পারেন, একটু দেখে নেওয়া দরকার।

পোস্ট অফিসের যে দুটি স্কিমের কথা বলা হচ্ছে, একটি হলো, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (National Savings Certificate) বা জাতীয় সঞ্চয় পত্র এবং অন্যটি হলো পিপিএফ বা পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (Public Provident Fund) এবার দুটি স্কিমেই টাকা বিনিয়োগ করলে মেয়াদ পূর্তির পরে ভালো রিটার্ন পাওয়া যায়। কিন্তু কোন প্রকল্পে বেশি টাকা পাওয়া যেতে পারে বা লাভজনক হতে পারে, সেটি একবার দেখা যাক।

National Savings Certificate (NSC)

পোস্ট অফিস দ্বারা পরিচালিত হয় এই জাতীয় সঞ্চয়পত্র বা এনএসসি। এতে ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ১ জুলাই ২০২৩ তারিখ থেকে এনএসসিতে সুদের হার ৭.৭% পর্যন্ত করা হয়েছে। সিঙ্গেল বা জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে, জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে তিনজনের নামেও অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। আয়কর আইনের 80C ধারায় ১.৫০ লক্ষ টাকা ছাড় পাওয়া যায়। ন্যূনতম ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে যে কোনও পরিমাণ বিনিয়োগ করা যেতে পারে।

Public Provident Fund (PPF)

এটি সরকার সমর্থিত একটি সঞ্চয় প্রকল্প। PPF- এ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বছরে ৫০০ টাকা থেকে ১.৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রেও আয়কর আইনের 80C ধারায় ১.৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। তবে পিপিএফে টাকা বিনিয়োগ করার পর ১৫ বছর পর্যন্ত দীর্ঘ মেয়াদে চালিয়ে যেতে হবে। ৫ বছর পরে টাকা তোলা যেতে পারে।
সর্বোপরি বলতে গেলে এনএসসি ও পিপিএফের মধ্যে তুলনামূলকভাবে দেখতে গেলে এনএসসিতে বেশি পরিমাণে রিটার্ন পাওয়া যায়। এটি একটি একক বিনিয়োগ প্রকল্প। ৫ বছর পরেই ম্যাচুরিটি হয়ে যায় এবং টাকা তোলা যায়। সেই জায়গায় পিপিএফ ১৫ বছর ধরে চালিয়ে যেতে হয়। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর