ব্যুরো নিউজ,১ নভেম্বরঃসামনেই আমেরিকায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, আর এর মাঝেই উত্তর কোরিয়া থেকে এক নতুন উদ্বেগজনক খবর এসেছে—দেশটি সফলভাবে পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করেছে একটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালাস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম)। এই ঘটনার ফলে আমেরিকা এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর কী প্রভাব পড়বে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে পুরো বিশ্ব।উত্তর কোরিয়ার এই মিসাইলটি এত দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আছড়ে পড়ার সক্ষমতা রাখে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মিসাইলের মাধ্যমে আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘের উদ্বেগঃ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের তদন্তের দাবি
উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কা
আমেরিকার পক্ষ থেকে সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র সিয়েন সেভেত জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশনকে “প্রকটভাবে লঙ্ঘন” করেছে। ঘটনা চলাকালীন সেখানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন। তিনি দাবি করেছেন, এই অস্ত্র তাদের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী স্ট্র্যাটেজিক হাতিয়ার’।এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সূত্র আগেই সতর্ক করেছিল যে, আমেরিকার নির্বাচনের আগে উত্তর কোরিয়া আইসিবিএম পরীক্ষা করতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পিয়ংইয়ং রাশিয়ার কাছ থেকে নতুন মিসাইল প্রযুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তার বিনিময়ে হতে পারে।
বাইডেনের মন্তব্য নিয়ে তীব্র বিতর্ক, কমলা হ্যারিসের কড়া প্রতিবাদ
জাপানও এই উৎক্ষেপণের বিরোধিতা করেছে। জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেন নাকাতানি দাবি করেছেন, এই মিসাইল ৮৬ মিনিট ধরে উড়েছে এবং ৭ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে, যা উত্তর কোরিয়ার জন্য একটি নতুন রেকর্ড।এই ঘটনার পর উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, এটি তাদের প্রতিপক্ষদের সতর্ক করার জন্য একটি উপযুক্ত সামরিক পদক্ষেপ।ফলে উত্তর কোরিয়া এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।