ব্যুরো নিউজ,৪ সেপ্টেম্বর :নাজেহাল পরিস্থিতি তৃণমূল সরকারের। আরজিকর কান্ড কিভাবে সামাল দেওয়া যাবে, তা ভেবে উঠতে পারছে না সরকার এবং দলীয় নেতৃত্ব। এর মধ্যেই আচমকা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রকল্পের টাকা দেওয়ার কথা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
High Court:সামান্য বেতনে পুলিশেও চুক্তিতে নিয়োগ, দেশে কোথাও নেই, তুলোধোনা হাইকোর্টের
ঠিক কি কারণে বাতিল করলো সরকার?
মমতার মুসলিম ‘তোষণের’ছবি…ব্যান করার দাবিতে মামলায় কি নির্দেশ হাইকোর্টের
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়াদের স্মার্টফোন বা ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। তরুণের স্বপ্ন নামে এই প্রকল্পের মাধ্যমে করোনা কাল থেকেই যাতে অনলাইনে নিম্ন মধ্যবিত্ত, দরিদ্র পরিবারের পড়ুয়াদের পড়াশোনা করতে কোনো অসুবিধা না হয়, তাই এই প্রকল্প চালু করা হয়। এবারের বাজেটে আবার শুধুমাত্র দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া নয়, তার সঙ্গে একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য এই স্মার্টফোন বা ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সরকারের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে প্রস্তুতিও চলছিল। সুত্র মারফত জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের টাকা দেওয়ার জন্য ট্রেজারিতে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে যায়। ৫ সেপ্টেম্বর ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা আগেই আচমকা স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, প্রশাসনিক কারণে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের যে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে স্মার্টফোন বা ট্যাব কেনার জন্য যে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়, সেটা আপাতত বাতিল করা হয়েছে।
High Court :হাইকোর্টের ভিতরেই সায়ন বনাম কল্যাণের তুমুল বিতন্ডা, চমকে গেলেন বিচারপ্রার্থীরা
কিন্তু কোন প্রশাসনিক কারণ, তা কিন্তু স্পষ্ট করে এই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়নি। এই প্রসঙ্গে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় যেভাবে পড়ুয়ারা পথে নেমেছিলেন, তাই রাজ্য সরকার ঘুষ দেওয়ার পথে হেঁটেছিল। তাতে লাভ হবে না বুঝেই এই টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সরকারিভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে আচমকা স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে এই টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল হওয়ায় স্পষ্ট ভাবে কোনো কারণ দেখানো হয়নি। ফলে পড়ুয়াদের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের কারণেই কি এই ফল, এরকম প্রশ্ন উঠেই যাচ্ছে।