ব্যুরো নিউজ, ৪ মে : দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এই দু’টি ঘটনাতেই স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া দরকার বলে দাবি NIA-এর। তাই আদালতের কাছে আবেদন, যেনও দাড়িভিট ও ময়না এই দু’টি ঘটনারই যাবতীয় নথি তথ্য তাদের দেয় রাজ্য পুলিশ। একই সঙে রাজ্য পুলিশ- সহ সিআইডি-র ভূমিকা নিয়েও তোলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই ফের পুরনো কেস ফাইল খোলায় যথেষ্ট চাপেই শাসক শিবির। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কুণালের মুখ বন্ধ করতেই কি ড্যামেজ কন্ট্রোলে ডেরেক, ব্রাত্য?
২০১৮ সালে উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিটেতে পুলিশের গুলিতে ২ ছাত্রের মৃত্যু হয় এবং ২০২৩ সালে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতিকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। আর তা নিয়ে সে সময় যথেষ্টই জল-ঘোলা হয়। দাড়িভিট ও ময়নার ঘটনায় রাজ্য পুলিশ ও সিআইডি তদন্ত শুরু করেছিল। এমনকি এফআইআরও করা হয়েছিল ১৪ জনের নামে। আর এবার এই দুই ঘটনায় FIR দায়ের করল NIA.
দাড়িভিট কাণ্ড :
দাড়িভিটের ঘটনার তদন্ত ছিল সিআইডি-র কাছে। তবে গত বছর ১০ মে এই তদন্তের দায়িত্ব NIA-কে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু তার পর প্রায় বছর ঘুরে গেলেও সেভাবে তদন্তের কোনও অগ্রগতি হয়নি। এই প্রসঙ্গে NIA-র অভিযোগ, তাদের এই ঘটনার কোনও নথি হস্তান্তর করেনি রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। এবার সেই ঘটনায় FIR দায়ের করল NIA. প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিটের এক স্কুলে উর্দু শিক্ষক নিয়োগ করা হলে, তাকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় সেখানকার স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করতে এসে পুলিশ গুলি চালায়। আর তাতেই স্কুলের ২ প্রাক্তন ছাত্রের মৃত্যু হয়। এমনকি সে সময় বোমাবাজিও হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
ময়না কাণ্ড :
২০২৩ সালে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচায় গোরামহল গ্রামে বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী বোমাবাজি করে বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপরেই গ্রামের এক পুকুরপাড়ে তার দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঘুনের অভিযোগ ওঠে। এবার এই ঘটনায় FIR দায়ের করল NIA.