ব্যুরো নিউজ,৩ জানুয়ারি:বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে এক ধরনের শীতলতা পেরিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত ইতিহাস এবং স্বাধীনতার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ সীমিত ছিল। তবে সম্প্রতি এই সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচিত হচ্ছে। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশক দারের একটি মন্তব্যে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে, বাংলাদেশ হল তাদের হারিয়ে যাওয়া ভাই, যা দুই দেশের সম্পর্কের নতুন দিক দেখাচ্ছে।ইসলামাবাদে এক কূটনৈতিক সভায় পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তাদের হারানো ভাই এবং পাকিস্তানের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতা শেষ হয়েছে। একে একে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের গতি বদলাতে শুরু করেছে।
রাজ্যের আবহাওয়ার পূর্বাভাস, বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা কি আছে?
কিভাবে?
পাকিস্তান আগামী সময়ে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সহযোগিতার জন্য অন্যতম অংশীদার হিসেবে মনে করছে। তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের নীতি অনুযায়ী, তারা বাংলাদেশকে আর্থিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের পথে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।এছাড়া, পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীও এই ইশক দারের মন্তব্যে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান ভবিষ্যতে একে অপরের সহযোগিতার মূল অংশীদার হবে। এমনকি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর যৌথ মহড়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে পাকিস্তানের সেনা বাংলাদেশে যৌথ মহড়ায় অংশ নিতে আসবে বলে জানা গেছে। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর, এই দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে এক ধরনের উষ্ণতা ফিরে আসার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
স্পিড ব্রেকারের ঝাঁকুনিতে মড়া উঠল বেঁচে? শ্মশানের পথে ঘটল ‘মিরাক্ল’!
উল্লেখযোগ্য যে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত শীতল ছিল। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর, বাংলাদেশে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কও সীমিত হয়ে যায়। তবে সম্প্রতি, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে একটি জাহাজ আসার মাধ্যমে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর এই বক্তব্য কেবলমাত্র দুটি দেশের সম্পর্কের নতুন দিক নির্দেশ করছে না, বরং এটি এশিয়ার কূটনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবেও সামনে এসেছে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সম্পর্কের পুনর্গঠন এবং সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, বিশেষ করে দুই দেশের সেনাবাহিনীর যৌথ মহড়ার মাধ্যমে।
