ব্যুরো নিউজ,২১ ফেব্রুয়ারি :আজ দিল্লিতে বিজেপি সরকারের শপথগ্রহণের মঞ্চে এনডিএ-র শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের জনসেনা পার্টির নেতা এবং রাজ্যের মন্ত্রী পবন কল্যাণ।তাকে দেখে নরেন্দ্র মোদী মজা করে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনি কি সব ছেড়েছুড়ে হিমালয়ে চলে যাচ্ছেন?’’ পবন এই প্রশ্নের উত্তর দেন, ‘‘এখনও অনেক কাজ বাকি, হিমালয় আপাতত অপেক্ষা করুক।’’এদিন দিল্লির শপথগ্রহণ মঞ্চে পবন কল্যাণ ছাড়াও শিবসেনার একনাথ শিন্দে এবং টিডিপি-র চন্দ্রবাবু নায়ডু সহ এনডিএ-র অন্য শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী, তাঁদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন এবং এনডিএ-র আগামী পথচলার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।
শিশুদের জন্য কেন ক্ষতিকারক টিভি দেখা জানেন? না জানলে এখনই জানুন
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন
বৈঠকে আরও জানা যায়, বিহার, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে একযোগে ঝাঁপানোর লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে।বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, রাজনীতির মাঠে ওড়িশা, দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গের সরকারের বিষয়টি এখন বিজেপির সম্মানের লড়াই। প্রথম দুই রাজ্যে সরকার গঠন সফল হলেও, এবার পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে।মোদী সরকারের তৃতীয় দফার শপথগ্রহণের পর বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিল যে, শরিক-নির্ভর সরকার কতদিন চলতে পারবে।
তবে সম্প্রতি, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং দিল্লিতে বিজেপির শক্তি প্রদর্শন সেই সংশয় অনেকটাই দূর করেছে। রাজনীতিবিদদের মতে, গত ছয় মাসে বিধানসভা নির্বাচনে ধারাবাহিক জয়ে মোদী সরকারের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়েছে।এছাড়া, দিল্লিতে আজ অনুষ্ঠিত এনডিএ-র বৈঠকে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এবং শরিক দলের নেতারা একত্রিত হন। বৈঠকে বিশেষভাবে বিহার, অসম ও পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তিনটি রাজ্যেই বিজয়ের লক্ষ্যে একযোগে লড়াই করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
কেন পালন করা হয় বিজয়া একাদশী? জানুন
বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাউড়ে জানান, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও বিহারে এনডিএ একজোট হয়ে লড়বে।’’ বৈঠকে উপস্থিত সব দলের নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন যে তারা নির্বাচনে একযোগে কাজ করবেন।নীতীশ কুমার দিল্লিতে উপস্থিত ছিলেন না, কারণ তিনি নিজের রাজ্যে বাজেট অধিবেশন পরিচালনা করছিলেন। একইভাবে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলও আসতে পারেননি।