ব্যুরো নিউজ,২০ ফেব্রুয়ারি :মহাকাশে অবাক করা নতুন অভিযান শুরু করতে চলেছে নাসা! ‘ড্রাগনফ্লাই’ নামের একটি মহাকাশযান তৈরি করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, যা দেখতে ফড়িংয়ের মতো। এই যাত্রা টাইটান, শনির চাঁদের দিকে হবে, যেখানে পৌঁছে গিয়ে এই যান টাইটানের আদি রহস্য উন্মোচন করবে। এর জন্য নাসা প্রায় ৩৩৫ কোটি ডলার খরচ করেছে।
বেঙ্গালুরুর মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমার আগে অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য জরিমানা!
টাইটানের প্রথম হদিস
টাইটান, শনির বৃহত্তম চাঁদ, সৌরজগতের সবচেয়ে বড় উপগ্রহগুলোর মধ্যে একটি। ১৯৪৪ সালে টাইটানের প্রথম হদিস পাওয়া গেলেও, তার সম্পর্কে অজানা অনেক কিছুই রয়ে গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, টাইটানের বায়ুমণ্ডল গঠিত নাইট্রোজেন এবং মিথেন গ্যাস দিয়ে, যা সৌরজগতের অন্য কোনো চাঁদের তুলনায় অনেক বেশি ঘন। সবচেয়ে অবাক বিষয় হলো, এখানে মিথেনের স্তর ক্রমাগত বাড়ছে, যদিও এর মিথেন গ্যাসের আয়ু শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল।এই মহাকাশযানটি টাইটানের পৃথিবীর মতো জলচক্র বা সম্ভাব্য প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে বের করবে।
নাসা এর আগে ২০০৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে টাইটানে ক্যাসিনি-হাইড্রোজেনস মিশন পরিচালনা করেছিল, যা বহু তথ্য সংগ্রহে সাহায্য করেছে। এবার ‘ড্রাগনফ্লাই’ টাইটানের মাটি, বায়ুমণ্ডল এবং মিথেনের গ্যাসের মধ্যে কী ধরনের রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, তা পরীক্ষা করবে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাইটান এক ধরনের মহাজ্ঞানিক রহস্য। এখানকার পরিবেশ এমনভাবে তৈরি যে, হয়তো এখানে জীবনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে, টাইটানের পুরু বরফের চাদর এবং গভীর সমুদ্রের মধ্যে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে।২০২৮ সালের জুলাই মাসে ‘ড্রাগনফ্লাই’ যাত্রা শুরু করবে এবং টাইটানে পৌঁছানোর পর অন্তত দুই বছর তথ্য সংগ্রহ করবে।
ঘুমের সমস্যা দূর করতে অভ্যাস করুন কূর্মাসনঃ সহজ পদ্ধতিতে শিখে নিন কিভাবে করবেন এই আসন
পুরো সময়টা মহাকাশযানটি কয়েকশো কিলোমিটার ঘুরে দেখবে এবং সেখানকার মিথেন মেঘ, তরল পদার্থ এবং অন্যান্য পরিবেশগত পরিবর্তনের পরীক্ষা করবে।টাইটানে মানুষের বসবাসের উপযুক্ততা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে, তবে সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া না গেলেও, এটি কেমিক্যাল রিঅ্যাকশন এবং জীবাশ্মের বিকাশ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করতে পারে।এবার নাসা আরও এক নতুন মিশনে অভিযানে বের হচ্ছে এবং পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা, তা জানতে আগ্রহী মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।