narendra-pur-harassment-incident

ব্যুরো নিউজ, ২১ সেপ্টেম্বর :রাজ্যে নারীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের বিষয় দিনদিন বাড়ছে। সম্প্রতি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় এক আইনজীবীর স্ত্রীকে প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানির অভিযোগ সামনে এসেছে, যা এই উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ঘটনাটি ঘটেছে দিনের আলোতে, যখন মহিলা এবং তার স্বামী বাইকে যাচ্ছিলেন। তাদের গাড়ির তেল শেষ হয়ে যাওয়ার পর, বাধ্য হয়ে তারা পেট্রোল পাম্পের দিকে হাঁটতে শুরু করেন।

আরজি কর কাণ্ড: বিচার ও প্রতিবাদের স্লোগানে গর্জে উঠল বাংলা

মহিলা আইনজীবীর শ্লীলতাহানি

আইএসএল মরসুমে নতুন উদ্যোগ ফুটবল প্রেমীদের জন্য বিশেষ মেট্রো পরিষেবা

তখনই একটি যুবক দল তাদের উদ্দেশ্যে ছবি তুলতে শুরু করে এবং নোংরা ইঙ্গিত দিতে থাকে। মহিলা প্রতিবাদ জানালে, যুবকদের তরফে অশালীন মন্তব্য এবং গালিগালাজ শুরু হয়। মহিলার স্বামী যখন প্রতিবাদ করেন, তখন তিনিও একই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হন।

এ ঘটনায় মহিলা দ্রুত নরেন্দ্রপুর থানায় পৌঁছে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তদন্তে নেমে যায়। ঘটনার স্থানে এলাকার লোকজনের সাক্ষ্য সংগ্রহ করা হয় এবং শেষে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই ধৃতকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

আরজি কর কাণ্ড: ইডি ও সিবিআইয়ের তদন্ত জোরদার

পুলিশ ধৃতের সঙ্গে কথা বলে আরও কারা জড়িত আছে, তা জানার চেষ্টা করছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, এ ধরনের ঘটনা বারবার কেন ঘটছে? আইন এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও নারীর নিরাপত্তা যে এখনও প্রশ্নবিদ্ধ, তা এই ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

এখন সবার মনে একটাই প্রশ্ন—কবে বন্ধ হবে নারীর প্রতি এই ধরনের নিপীড়ন? সমাজের বিভিন্ন স্তরে এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজন। নারীর প্রতি সম্মান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে আমাদের বিশেষ আইন প্রয়োজন। পুলিশের প্রতি আস্থা রাখার পাশাপাশি, সমাজের প্রতিটি সদস্যকেও এগিয়ে আসতে হবে।এই ঘটনা আবারো মনে করিয়ে দেয় যে, নারীর নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। কেবল আইনেই নয়, বরং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতেও পরিবর্তন আনা জরুরি। সবার যৌথ উদ্যোগে আমরা একটি নিরাপদ সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করতে পারি।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর