Narayana Murthy on AI

ব্যুরো নিউজ, ২১ মে : AI-এক কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা। তবে আজকাল তাকে নিয়েই যেন যত মাতামাতি। কোনও অফিসিয়াল লেটার লেখার থাকলে কষ্ট করে মাথা খাটিয়ে আর লিখতে হবে না। কারন হাতের মধ্যেই আছে চ্যাট জিপিটি। কোনও কঠিন কোডিং হোক বা প্রোগ্রামিং সবেতেই এই AI- এর কামাল অনস্বীকার্য। এমনকি এমন এমন দুর্দান্ত পেশাদার বায়োডাটাও কয়েক মুহূর্তে বানিয়ে দিতে পারে এই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা। এছাড়াও নানান পরিষেবা প্রদানকারী কাজও একাই সেরে ফেলতে পারে AI.

তবে যখন AI একাই এতো কাজ কয়েক মুহূর্তে করে ফেলতে পারে তবে মানুষের কি দরকার? তাই সকলেই মনে করছেন এই AI- এর জন্য গোটা বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি মানুষ তাদের চাকরি খোয়াতে পারেন। আর এই আশঙ্কা নেহাত উড়িয়ে দেওয়ার মতও নয়। তাই প্রায় সকলের মনে এই একই আশঙ্কা দানা বেঁধেছে।

তবে সম্প্রতি ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তি এই AI নিয়ে নিজের মতামত রেখেছেন। তাঁর মতে, এআই মানুষের জীবনযাত্রাকে সুবিধাজনক করে তুললেও মানুষের জীবনে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। কারন, মানুষের মন যে কাজ করতে পারে, তা প্রযুক্তি কখনোই করতে পারে না।

তবে এর আগে বিল গেটসও এই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কথা বলেছেন। তবে তাঁর মতে, AI-এর ব্যবহারে মানুষের চাকরি হারানোর যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তাতে বিল গেটস-এর বিশ্বাস যে, মানুষের চাকরি হারানোর একটি সম্ভাবনা রয়েছে, তবে সমাজ তা মানিয়ে নেবে। তিনি এও বলেন, এই পরিবর্তনটি যদি একটি পরিচালনাযোগ্য গতিতে ঘটে, তবে এটি এমন একটি সমাজে নিয়ে যেতে পারে যেখানে কম কায়িক শ্রমের প্রয়োজন হবে।  ফলে মানুষও আরও বেশি অবসর সময় পাবে।

এছাড়া  তাঁর মতে, আজ ৬৮ বছর বয়সে দাড়িয়ে তিনি উপলব্ধি করেছেন যে,  “জীবনের উদ্দেশ্য কেবল চাকরি করা নয়।”

তবে এদিকে ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তি মানুষের মনের সৃজনশীলতার বিকল্প হিসাবে এই আধুনিক কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকে স্থান দিতে নারাজ। তিনি উদাহরন দিয়ে বলেছেন, ১৯৭৫ সালে ‘কেস টুল’ চালু হওয়ার পরও অনেকেই মনেকরে ছিলেন এবার হয়তো বহু মানুষ চাকরি হারাবে। তবে তেমন কিছুই ঘটেনি। কঠিন ও জটিল সমস্যার সমাধানের জন্য মানুষেরই প্রয়োজন। তাঁর মতে, মানুষকে সাহায্য করার জন্যই কেবল কাজ করতে পারে এই প্রযুক্তি।
BJP Helpline

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর