লাবনী চৌধুরী, ২৫ মে : ভোটের আগের রাতেও উত্তাল নন্দীগ্রাম। কয়েক দিন ধরেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে নন্দিগ্রামের ঘটনা। দফায় দফায় বিক্ষোভ- অবরোধে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে সেখানকার পরিস্থিতি। এক বিজেপিকর্মীর মাকে 'খুনে'র ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম। তবে সেখানেই শেষ নয়। গত দু'দিন ধরে নয়া নয়া মোড় নেয় সেখানকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এদিকে গতকালও এক তৃণমূল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় ফের জ্বলে ওঠে নন্দীগ্রাম। কলকাতায় ‘খুন’ বাংলাদেশি সাংসদ। বাবার মৃত্যুতে অভিযুক্তদের নিয়ে বিস্ফোরক মেয়ে ডরিন তবে হামলার কারণে ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন ২৭০ নম্বর বুথের বাসিন্দারা। সেখানের প্রায় ৭০ টি পরিবার এখন একপ্রকার 'উদ্বাস্তুর' মত দিন কাটাচ্ছে। এই অবস্থায় সাউদখালির পরিবারগুলি অয়াশের গ্রামে এসে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে অস্থায়ী শিবির তৈরি করা হয়েছে। এদিকে সেখানকার মানুষের অভিযোগ, ঘর ছাড়া তারা, কিন্তু পাশের গ্রামে এসেও নিস্তার নেই। কারন দুই গ্রামের মধ্যে সংযোগকারী কাঠপোল ভেঙে ফেলা হয়েছে এমনকি তা পুড়িয়েও দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। যেখানে মাথার ওপর নিজেদের ছাদটুকু নেই, সেই অবস্থায় তারা ভোট দেবেন কি করে তা নিয়েই উঠছে বড় প্রশ্ন। তবে ভোটে হিংসা, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশেষ তৎপর নির্বাচন কমিশন। তাই নন্দীগ্রামে ১৬ কম্পানির বদলে বাড়ানো হয়েছে আরও ৪ কোম্পানি। অর্থাৎ এই হিংসা পরিস্থিতিতে মত ২০ কোম্পানি কেন্দ্রিয়বাহিনি থাকছে নন্দীগ্রামে।