ব্যুরো নিউজ, ৪ ডিসেম্বর : ১৩ নম্বর নিয়ে মানুষের মধ্যে বেশিরভাগ সময়েই নেতিবাচক মনোভাব দেখা যায়। এটি প্রায়ই দুর্ভাগ্যের প্রতীক হিসেবে গণ্য হয় এবং সংখ্যাতত্ত্বের দৃষ্টিতে এটি অশুভ বলে ধরা হয়। অনেক মানুষ ১৩ নম্বর ঘরে থাকতে চান না বিশেষত হোটেলগুলিতে। এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন হোটেলে ১৩ নম্বর ঘর বাদ দেওয়া হয়েছে এবং কিছু হোটেল এমনকি ১৩ তলার পুরোপুরি ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। বেশ কিছু লিফটেও ১৩ নম্বর তলার বোতাম থাকে না এবং ১২ তলার পর সরাসরি ১৪ তলায় বোতাম টিপতে হয়।
১৩ নম্বরের প্রতি ভয়ের কারণ কী?
গবেষণা অনুযায়ী ১৩ নম্বরের প্রতি এই ভয় একটি মানসিক অবস্থার সৃষ্টি। যা ‘ট্রিস্কাইডেকাফোবিয়া’ নামে পরিচিত। এটি হলো ১৩ নম্বরের প্রতি অদ্ভুত ভীতি বা অশুভ ধারণা। অনেকের বিশ্বাস, ১৩ নম্বরটি ভৌতিক এবং অলৌকিক শক্তির সঙ্গে জড়িত। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা দেখলেই উদ্বেগ বেড়ে যায় পেট ঘাবড়ে ওঠে, স্নায়বিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে, এমনকি হৃদস্পন্দনও দ্রুত হতে পারে।এই ভয়ের কারণ পশ্চিমি সংস্কৃতির মধ্যে গোঁড়াতেই রয়েছে। বিশেষত খ্রিস্টান ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, ‘দ্য লাস্ট সাপার’-এর সঙ্গেও ১৩ নম্বরের সম্পর্ক রয়েছে। বলা হয় যিশু ওই দিন ১৩ নম্বর আসনে বসেছিলেন। যদিও বাইবেলে এর কোনও উল্লেখ নেই তারপরেও অনেকেই ১৩ নম্বরকে অশুভ বলে মনে করেন।
অস্কারে জায়গা করে নিল ‘পুতুল’-এর গান ‘ইতি মা’, বাঙালি পরিচালক ইন্দিরা ধর মুখোপাধ্যায়ের ইতিহাস সৃষ্টি
বহুতল ভবনগুলিতে ১৩ তলার সমস্যা হয়, কারণ এটা সরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই অনেক হোটেল মালিক ১৩ তলার নাম বদলে দেন, যেমন ১২এ বা ১৪এ রাখা হয়। সেই সঙ্গে ১২ তলার পর সরাসরি ১৪ তলার বোতামও ব্যবহার করা হয়।