ব্যুরো নিউজ,২৬ ডিসেম্বর:মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘আরাকান আর্মি’ সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গনের কাছাকাছি থান্ডওয়ে নৌঘাঁটি এবং পাশের গাওয়া শহর দখল করেছে। এই অঞ্চলটি সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ইরাওয়াদি নদী সংলগ্ন এবং ইয়াঙ্গন ও নেপিডো সরকারের দিকে যাওয়ার প্রধান রাস্তাগুলোর একটি। কয়েক মাস আগে কায়কতাও নৌঘাঁটিও দখল করেছিল তারা, তবে এবার তারা মূল প্রশাসনিক কেন্দ্রের কাছাকাছি চলে এসেছে।
সীমান্তে গুলি গালাজ বন্ধের দাবি, ভারত-বিরোধী সুর চড়াচ্ছে বিএনপি
পরিস্থিতি আরো জটিল
এটি মায়ানমারের জন্য একটি বড় সঙ্কট, কারণ বিদ্রোহীদের কার্যক্রম দেশটির কেন্দ্রে প্রবেশ করেছে। বিশেষ করে, বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি সেনা শাসনের বিরুদ্ধে আক্রমণ আরও তীব্র করতে পারে। এর আগে, তারা বাংলাদেশের সীমান্তের কাছাকাছি রাখাইন প্রদেশ দখল করেছিল এবং এবার তারা মণিপুরের কাছাকাছি চিন প্রদেশও দখল করেছে।২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর, মায়ানমারের সেনা সরকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী আউং সান সু চির সরকারের পতন ঘটায় এবং দেশটি সামরিক শাসনে চলে যায়। এরপর থেকে দেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি একে একে সেনা সরকারকে উৎখাত করার জন্য সংগ্রাম শুরু করেছে।
জালিয়াতি চক্রে দিল্লি পুলিশের অভিযানে ১১ জন গ্রেপ্তার
নভেম্বর মাসে তিনটি প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’, ‘আরাকান আর্মি’ এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ নতুন জোট গঠন করে এবং সেনা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। এই জোটের নাম দেওয়া হয় ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’।এখন প্রশ্ন উঠছে, বিদ্রোহীরা যখন এত দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে, তখন কি জুন্টা বাহিনী তাদের প্রতিরোধ করতে পারবে? বিদ্রোহীদের ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং রাজনৈতিক সমর্থন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, যার ফলে মায়ানমারের পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠছে।