ব্যুরো নিউজ, ২২ নভেম্বর : শহরে শিশুদের বিরল রোগ চিহ্নিত করতে কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে চালু হতে চলেছে ‘রেয়ার ডিজিজ ক্লিনিক’। সদ্যজাত থেকে ২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের এই ক্লিনিকে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করা হবে। জিনগত কারণে বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা ও পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নেওয়া হয়েছে এই কর্মসূচি।
স্মার্ট মিটার বসানো নিয়ে বাধার মুখে কর্মীরা
শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডে এই ক্লিনিক চালু হবে
পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে রেয়ার ডিজিজ সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে গত এক বছরে আশা কর্মীদের এবং পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ এই প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। সহজ বাংলা ভাষায় বিরল রোগের লক্ষণ এবং নামের তালিকাও তৈরি হয়েছে। আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের মায়েদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং সন্দেহজনক ক্ষেত্রে ক্লিনিকে আসার পরামর্শ দেবেন।পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডে এই ক্লিনিক চালু হবে। চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন জেনেটিক কাউন্সেলর দীপাঞ্জনা দত্ত। জিনগত মিউটেশনের কারণে শিশু জন্মানোর আগেই বিরল রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে জেনেটিক কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে পরিবারকে সহায়তা করা হবে।
সবজির মূল্যবৃদ্ধি রুখতে বাজারে টাস্ক ফোর্সের হানা
চিকিৎসার জন্য রাজ্যের নোডাল সেন্টার হিসেবে এসএসকেএম হাসপাতাল এবং শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে রোগীদের পাঠানো হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিদল বাংলায় এসে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো খতিয়ে দেখছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রকল্পে বিশাল বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে তারা রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন। কলকাতা পুরসভার এই উদ্যোগকে শিশু স্বাস্থ্য রক্ষায় বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।