child written

ব্যুরো নিউজ,১৪ সেপ্টেম্বর :ঘুম থেকে ওঠার পর শিশুদের সাধারণত বিছানা ছাড়তে ইচ্ছা করে না। অনেক সময় তারা মোবাইলে চোখ রেখে অথবা আলসেমি করে শুয়ে থাকে। তবে, যদি শিশুরা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মোবাইল বা ট্যাব ব্যবহার না করে কিংবা টিভিতে কার্টুন না দেখে, এবং পরিবর্তে কিছু ইতিবাচক অভ্যাস রপ্ত করতে পারে, তবে তাদের বুদ্ধির বিকাশ এবং মেধা উভয়ই উন্নত হবে। একাধিক গবেষণা প্রমাণ করেছে যে, ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করলে শরীর ও মন উভয়ই ভাল থাকে, কারণ ওই সময় মস্তিষ্ক সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে।

জুনিয়র ডাক্তারদের পাঁচ দফা দাবি: মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি ও পরবর্তী পদক্ষেপ

পড়াশোনায় তুখোড় হবে  আপনার শিশু

মেট্রো লাইনে তরুণীর হঠাৎ অবাধ বিচরণ: দ্রুত উদ্ধার অভিযানে সফলতা

ভোরে উঠতে না পারার অন্যতম কারণ হলো রাতে দেরি করে ঘুমোনো এবং দীর্ঘক্ষণ মোবাইল দেখা। শিশুকে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস করানো গেলে ভোরে উঠতে কোনও সমস্যা হবে না। ঘুম ভাঙার পর প্রথম এক ঘণ্টাকে ‘গোল্ডেন আওয়ার’ বলা হয়। এই সময়ে শরীরচর্চা যেমন স্ট্রেচিং, জগিং, প্রাণায়াম বা যোগাসন করা উচিত।

ঘুম ভাঙার পরেই একটি গ্লাস জল খাওয়া জরুরি,উষ্ণ গরম জল, যা শরীরকে আর্দ্র রাখে। শরীরচর্চার পরেও পর্যাপ্ত জল খাওয়ানো উচিত। এছাড়া, সকালে গায়ে রোদ লাগানো খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ভিটামিন ডি সংশ্লেষে সাহায্য করে এবং সূর্যালোক শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর করে।পুষ্টিকর প্রাতরাশের অভ্যাসও জরুরি। শিশুকে মাখন পাউরুটি, দুধ দিয়ে কর্নফ্লেক্স অথবা দুধ-ওটস খাওয়াতে পারেন, উপরে ফল কেটে দিলে আরও ভাল। চাল-ডাল দিয়ে খিচুড়ি বা ওটস, ডালিয়া দিতেও পারেন, যা পুষ্টিকর।

কর্ম বিরতি থামাবেন না স্পষ্ট করলেন আন্দোলনকারী ডাক্তাররা

মেডিটেশন বা ধ্যানও একটি ভালো অভ্যাস। প্রথমে শিশুরা এক জায়গায় বসতে চাইবে না, কিন্তু অভ্যাস করালে তারা ধীরে ধীরে ১০-১৫ মিনিট শান্তভাবে বসতে শিখবে। নিয়মিত ধ্যানে মনোযোগ ও একাগ্রতা বৃদ্ধি পাবে, এবং বুদ্ধির উন্নতি হবে।সকালের কাজের মধ্যে বিছানা গুছানো, পড়ার টেবিল সাজানো, গাছে জল দেওয়া — এই ছোট ছোট কাজগুলোও শিশুদের দায়িত্ববোধ এবং নিজের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর