moon-base-india-russia-china-joint-project

ব্যুরো নিউজ,১৩ সেপ্টেম্বর:আগামী এক দশকের মধ্যে চাঁদের বুকে একটি গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলার প্রস্তুতি চলছে। রাশিয়া এবং চিন তাদের মহাকাশ গবেষণা প্রকল্পে একত্রিত হয়েছে, এবং ভারতও এই উদ্যোগে তাদের সাথে যুক্ত হচ্ছে। বর্তমানে, চাঁদের মাটিতে একটি যৌথ ঘাঁটি স্থাপন করতে দুই দেশ—রাশিয়া ও চিন একসঙ্গে কাজ করছে, এবং ভারতের অংশগ্রহণ এই প্রকল্পের গুরুত্ব বাড়িয়েছে।রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘তাস’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘রসকসমস’ এবং চিনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘সিএনএসএ’ চাঁদে একটি স্থায়ী ঘাঁটি গড়ার পরিকল্পনা করেছে। এই প্রকল্পে ভারতও তাদের সহযোগী হিসেবে থাকবে। চাঁদে বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে, রাশিয়া ও চিন ২০৩৫ সালের মধ্যে চাঁদের বুকে একটি পারমাণবিক চুল্লি স্থাপন করার পরিকল্পনা করেছে।

সলমনের হাতে ‘জেকব অ্যান্ড কোং’-এর বিলিওনেয়ার ঘড়ি: অলঙ্কারের নতুন চমক

‘তাস’-এর প্রতিবেদনে কি বলা হয়েছে?

চাঁদের বুকে একটি পারমাণবিক চুল্লি স্থাপন করা অপরিহার্য, কারণ চাঁদে দিন ও রাতের পর্ব দীর্ঘসময় ধরে চলে। চাঁদের এক পাশে টানা ১৪ দিন সূর্য ওঠে এবং অন্য পাশে ১৪ দিন রাত থাকে। ফলে সৌরপ্যানেল ব্যবহার করে বিদ্যুতের অব্যাহত সরবরাহ সম্ভব নয়। পারমাণবিক চুল্লি এই সমস্যার সমাধান করবে।‘তাস’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন সংস্থা রোসাটমের নেতৃত্বে একটি পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মিত হবে। এতে ৫০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। এই প্রকল্পের নির্মাণ সম্পন্ন হবে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে, যাতে মানুষের উপস্থিতি প্রয়োজন হবে না।

ওজন কমাতে চান? তা হলে রোজ রায়তা খান!

অন্যদিকে, আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাও চাঁদে পরমাণু বিদ্যুতের ব্যবস্থা গড়ার পরিকল্পনা করেছে। তারা ২০২৫ সালের আর্টেমিস-২ মিশনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং চাঁদে পারমাণবিক কেন্দ্রের সম্ভাব্য স্থান নিয়ে গবেষণা করছে। নাসার পরবর্তী মিশন, আর্টেমিস-৩, ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে এবং ২০২৮ সালে আর্টেমিস-৪ পাঠানো হবে।২০২১ সালে, চিন ও রাশিয়া একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যার মাধ্যমে তারা একে অপরকে মহাকাশ গবেষণায় সহায়তা করবে। তবে, আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে শত্রুতার সম্পর্ক থাকার কারণে নাসার মহাকাশচারীরা চাঁদের এই নতুন ঘাঁটিতে প্রবেশের অধিকার পাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারত ও চাঁদে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতের চন্দ্রযান-৩, যা গত বছরের আগস্টে চাঁদের দুর্গম দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছিল, তার বাজেট ছিল মাত্র ৬১৫ কোটি টাকা। ভারত চাঁদে মহাকাশযান পাঠানোর ক্ষেত্রে আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের পর চতুর্থ দেশ।এখনও পর্যন্ত, ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো বা অন্য কোনো ভারতীয় সংস্থা চিন-রাশিয়ার সঙ্গে চাঁদে পারমাণবিক কেন্দ্র স্থাপন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর