mobile-phone-night-sleep-danger

ব্যুরো নিউজ, ১৬ অক্টোবর :মোবাইল এখন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সকালে অ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভাঙার পর থেকে শুরু করে, গোটা দিনটা আমাদের চোখ লেগেই থাকে। এমনকি রাতে বিছানায় শুয়ে পড়ার পরও মোবাইল স্ক্রল করা চলতে থাকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, মোবাইলকে বিছানার পাশে রেখে শোয়ার অভ্যাসটি একেবারেই উচিত নয়। এই বদভ্যাসের কারণে শরীর ও মনে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কলা পাতায় খাবার খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে?আপনি কি জানেন

ঘুমের সঙ্গী নয় মোবাইল

বিশেষজ্ঞদের মতে, বালিশের পাশে মোবাইল রেখে শুলে বিভিন্ন নোটিফিকেশন আসতে থাকে, যা আমাদের ঘুমকে ব্যাহত করে। অনেকেই রাতের বেলায় ঘুম ভেঙে ফোমো বা ‘ফিয়ার অব মিসিং আউট’-এর কারণে নোটিফিকেশন চেক করতে উঠে পড়েন। এর ফলে ঘুমের বারোটা বাজতে পারে। শুধু তাই নয়, অনেক মানুষ রাতে মোবাইলকে সাইলেন্ট করে রাখলেও ভাইব্রেশন চালু রাখেন, যা ঘুমে বিঘ্ন ঘটায়।

পুজোর পরে বাড়িতে বসেই  চুলের সঠিক যত্ন নিন

মোবাইলের রেডিয়েশনও গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এটি মাথার কাছে রেখে ঘুমালে মস্তিষ্কের কার্যক্রম বাড়িয়ে দেয়, যা ব্রেনের বেরিয়ার লিক হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। এতে অ্যালবুমিন বের হতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে, মাথার পাশে মোবাইল রেখে শুলে পুরুষদের ফার্টিলিটিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যার ফলে স্পার্ম কাউন্ট কমে যেতে পারে।

গর্ভবতী মহিলাদের জন্যও এই অভ্যাস ক্ষতিকর হতে পারে। মাথার পাশে মোবাইল রেখে শোয়ার ফলে ভ্রূণের জিনগত পরিবর্তন হতে পারে, যা বড়সড় সমস্যার কারণ হতে পারে।

‘সিংহম এগেইন’ সিনেমায় তারকাদের বাজেট জানুন!

এছাড়া, রাতে মোবাইল নিয়ে শোয়া আমাদের ওয়ার্কিং মেমোরির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়, যা কাজে মনোনিবেশে সমস্যা তৈরি করে। তাই এই অভ্যাস পরিহার করা জরুরি।

একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য দিনে ২ থেকে ৩ ঘণ্টার বেশি মোবাইল ব্যবহার করা উচিত নয়। আর শিশুদের এই ডিভাইস থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখা উচিত।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর