ব্যুরো নিউজ ১১ নভেম্বর :কলকাতা মেট্রো রেলের উত্তর-দক্ষিণ রুটের বিভিন্ন স্টেশনে প্ল্যাটফর্মে গার্ডরেল বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে আত্মহত্যা রুখতে। ইতিমধ্যেই কালীঘাট স্টেশনে গার্ডরেল বসানো হয়েছে। যাতে যাত্রীরা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ফাঁকা অংশগুলি দিয়ে ট্রেনে ওঠানামা করতে পারেন। তবে এই পদক্ষেপকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন ও বিতর্ক। অনেকেই মনে করছেন গার্ডরেল বসানো হলেও আত্মহত্যার প্রবণতা রোধ করা কঠিন হবে। যদি কেউ ট্রেনের আগমনের মুহূর্তে ওই ফাঁকা অংশ দিয়েই ঝাঁপ দেয়, তবে তাকে আটকানো প্রায় অসম্ভব।
ইরাকে বিয়ের বয়স ৯ বছর, নারী অধিকার নিয়ে নতুন সংশোধনী আইন নিয়ে বিপুল বিতর্ক
অফিস টাইমে দুর্ভোগ মারাত্মক বাড়তে পারে
বীরভূমে স্বামী-স্ত্রীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য কুমোরপুরে
একই সঙ্গে, গার্ডরেলের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ছে বলে অভিযোগ উঠছে। কলকাতা মেট্রোতে বর্তমানে তিন ধরনের ট্রেনের কোচ ব্যবহৃত হয়। যার স্বয়ংক্রিয় দরজার দূরত্বে পার্থক্য রয়েছে। নির্দিষ্ট দূরত্বে গার্ডরেল বসানোর কারণে অনেক সময় দরজা গার্ডরেলের সামনে পড়ে যাচ্ছে। যাত্রীরা এতে ওঠানামার সময় অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। ব্যস্ত অফিসের সময়। এতে দ্রুত ওঠানামা করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকছে বলে মনে করছেন নিত্যযাত্রীরা।
অন্যদিকে, কলকাতা মেট্রোর পূর্ব-পশ্চিম রুটের স্টেশনগুলিতে স্বয়ংক্রিয় স্লাইডিং দরজা বসানো হয়েছে যা ট্রেন থামার পরই খুলে যায়। ফলে সেগুলিতে আত্মহত্যা প্রতিরোধের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে। কিন্তু গার্ডরেল সিস্টেমে এই সুবিধা নেই এতে জটিলতা আরও বাড়তে পারে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন ‘মন্ত্রী’ঃ মাহফুজ, ফারুকি এবং বশিরউদ্দিনদের শপথ
এক সাক্ষাৎকারে জানান, মেট্রো শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শুভাশিস সেনগুপ্ত এই উদ্যোগকে “অযৌক্তিক ও খামখেয়ালি” বলে মন্তব্য করেছেন অভিযোগ তুলেছেন, এতে অর্থের অপচয় ঘটছে। যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, এই পদক্ষেপ শুধুমাত্র পরীক্ষামূলক। যাত্রীদের সুবিধা-অসুবিধা বিশ্লেষণ করে তারপরই স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এই উদ্যোগের বাস্তব প্রয়োগ কতটা কার্যকরী হবে, তা নিয়ে এখনো সংশয় রয়ে গেছে।