ব্যুরো নিউজ, ২৩ মার্চ: বেআইনি নির্মাণের জেরে কলকাতার বুকে প্রান হারিয়েছে ১১ জন। মধ্যরাতে গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনও কলকাতাবাসীর কাছে জ্যান্ত। আর এই ঘটনার পরেই রাজ্য প্রশাসন, পুরসভার দিকে আঙ্গুল উঠতে থাকে। এই প্রশ্নই ওঠে প্রসাসনের নাকের ডগা দিয়ে কীভাবে এই বেআইনি নির্মাণ হল। সেক্ষেত্রে পুরসভাই বা কি করছিল? আর এই প্রশ্নে সরব হয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
এরপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ইতি মধ্যেই ইঞ্জিনিয়ারদের বদলিও করা হয়েছে। এমনকি বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকদের জন্য জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিল্ডিং বিভাগের সাব অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়াররা এবার থেকে কাজ শুরুর কিছুটা সময় নিজেদের ওয়ার্ডে ঘুরে দেখবেন কোথাও কোনও বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে কিনা। এরপর রিপোর্ট তৈরি করে তা জমা দিতে হবে। এমনকি প্রতিদিন তারা ওয়ার্ডে যাচ্ছেন কি না তার নজরদারি করবে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ররা। এরপরই বেআইনি নির্মাণ রুখতে পদক্ষেপ নেয় লালবাজার। শহরের বুকে বেআইনি নির্মাণ রুখতে ‘নোডাল অফিসার’ নিয়োগ করল লালবাজার। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিসের যুগ্ম কমিশনার (সংগঠন) অজয় প্রসাদকে নোডাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। বেআইনি নির্মাণ আটকাতে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করবেন এই নোডাল অফিসার। এরই মধ্যে গার্ডেনরিচ কাণ্ডে মেয়রের দফতরে চিঠি পাঠায় লালবাজার। এরপরই লালবাজারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
৪ নয়া জেলা শাসকের দায়িত্বে কারা? কী জানাল নির্বাচন কমিশন?
এদিন লালবাজারের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ। বৈঠকে প্রশাসন, পুলিশ কর্তারা ছাড়াও ছিলেন আইনজীবীরা। জানা গিয়েছে, পুরনিগমের বিল্ডিং আইনের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে কলকাতা পুলিশের ফৌজদারি আইনও। এমনকি, বেআইনি নির্মাণ তৈরির পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে পাশাপাশি সেই নির্মাণ কীভাবে ভাঙা হবে তারও এসওপি তৈরি করা হয়েছে বলে খবর মিলেছে। কর্পোরেশন আরও কঠোর পথে হাটতে চলেছে বলে জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম।