ব্যুরো নিউজ,১৩ জুলাই: কত কিছুই না বিক্রি হয়। ফেলে দেওয়া জিনিসেরও যে একটা বাজার রয়েছে, তা হয়তো অনেকে জানেন, আবার অনেকে জানেন না। এখন মরশুমী ফল বলতে রয়েছে আম। সুস্বাদু আম সকলেই প্রায় কমবেশি এই ঋতুতে তৃপ্তি সহকারে খেয়ে থাকেন। আর আম খাওয়ার পরেই ফেলে দেওয়া হয় আমের আঁটি। কিন্তু জানেন কি, এই আমের আটির পাইকারি বাজার রয়েছে এই বাংলায়? দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এই রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীতে আসেন আমের আটি কিনতে। রেলস্টেশনের কাছেই এই আমের আটির বাজার।
http://মোবাইল রিচার্জ করতে টান পড়ছে পকেটে, দেখে নিন, সস্তার রিচার্জ প্ল্যান কোনটি?
আমের আটির বাজার, কারা কেনেন, কত দাম:
যারা জানেন না তারা প্রশ্ন করতেই পারেন, আমের আটির জন্য আবার পাইকারি বাজার, তা হয় নাকি? হ্যাঁ, অবাক হওয়ার কিছু নেই। এটাই সত্যি। পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের অন্যান্য রাজ্যের নার্সারির মালিকেরা এই আমের আটি কিনে নিয়ে যান। আমের আটি থেকে আবার নতুন করে তারা গাছের চারা তৈরি করেন। পরে আবার সেই আম গাছের চারা বিক্রি করা হয়। আড়তদারদের কথায়, স্থানীয়রা আমের আটি নিয়ে আসে। আর আমরা তাদের কাছ থেকে কিনে নিই। ১ টিন আমের আটির দাম দেওয়া হয় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। আর ভিন রাজ্যের পাইকাররা এসে আমাদের কাছ থেকে এই আমের আটি কিনে নিয়ে যায়। বর্ধমানের পূর্বস্থলীতেই কয়েকজন আড়তদার রয়েছেন। যাদের কাছ থেকে পাইকাররা এই আটি সংগ্রহ করেন। ফেলে দেওয়া আমের আটি বর্ধমানের পূর্বস্থলী থেকে চলে যায় বিহার, অসম, ঝাড়খন্ড সহ এই রাজ্যেরই অন্যান্য জেলায়। আটি কুড়িয়েই টাকা উপার্জন করছেন পূর্বস্থলী এলাকার অনেক মানুষ।
জায়ান্ট সিংয়ের অবৈধ বাড়ি, বুলডোজার অপারেশন কি হবে?
ভোর হলেই ঝোলা বা বস্তা নিয়ে অনেকেই বেরিয়ে পড়ছেন। ট্রেন বাসে করে দূরে ঘুরে ঘুরে ফেলে দেওয়া আমের আটি কুড়িয়ে নিয়ে আসছেন। আর পূর্বস্থলীর স্টেশন লাগোয়া বাজারে আড়তদারদের কাছে বিক্রি করছেন। এই ম্যাংগো সিডস মার্কেট বর্ধমানের পূর্বস্থলী রেল স্টেশনের কাছেই। যারা ঘুরে ঘুরে আটি সংগ্রহ করে আনেন, তাদের এটা একটা ইনকামের পথ হয়ে গিয়েছে। আর Mango Seeds-এর চাহিদাও বেড়েছে বর্তমানে।