পকসো মামলায় অভিযোগ নথিভুক্ত করার জন্য মহিলা অফিসার বাধ্যতামূলক

ব্যুরো নিউজ,১১ ডিসেম্বর:যৌন নির্যাতন বা পকসো আইনের অধীন মামলায় অভিযোগ নথিভুক্ত করার জন্য মহিলা পুলিশ অফিসার উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। অভিযোগকারীর জবানবন্দি কিংবা শারীরিক পরীক্ষাও মহিলা অফিসারের মাধ্যমেই সম্পন্ন করতে হবে। কোনও থানা এলাকায় মহিলা অফিসার না থাকলে অন্য থানা থেকে তাদের আনতে হবে। সম্প্রতি লালবাজারে আয়োজিত কর্মশালায় এই নির্দেশগুলি পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগঃ ন্যায়বিচারের জন্য অপেক্ষায় নির্যাতিতার পরিবার

প্রশিক্ষণ এবং কর্মশালার উদ্দেশ্য


পকসো আইন, যৌন নির্যাতন মামলার তদন্ত এবং প্রাসঙ্গিক ধারা সম্পর্কে পুলিশকর্মীদের সচেতন করতে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কলকাতা পুলিশের প্রতিটি থানার অফিসার ছাড়াও লালবাজারের শীর্ষ পুলিশকর্তারা এই কর্মশালায় অংশ নেন। পকসো মামলায় নির্যাতিতার নাম গোপন রাখা, অভিযোগপত্র এবং শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট সঠিক নিয়মে প্রস্তুত করা এবং আদালতে তা উপস্থাপনের পদ্ধতি সম্পর্কে বিশেষ দিকনির্দেশ দেওয়া হয়। তল্লাশি এবং জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্রে ভিডিয়ো রেকর্ডিং বাধ্যতামূলক। এই ভিডিয়ো বর্তমানে মোবাইলে রেকর্ড করে পেনড্রাইভ বা মেমরি কার্ডের মাধ্যমে আদালতে জমা দেওয়া হয়। রাজ্য পুলিশের ক্ষেত্রে অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে এটি সরাসরি আদালতে পাঠানোর ব্যবস্থা চালু হলেও কলকাতা পুলিশে এটি এখনও শুরু হয়নি। কর্মশালায় এই বিষয়ে সম্ভাব্য সমস্যাগুলিও আলোচিত হয়।

মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ বনাম রাম মন্দিরঃ উত্তেজনার নতুন অধ্যায়

পুলিশকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে পকসো এবং যৌন নির্যাতনের মামলায় কোনও অবস্থাতেই নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করা যাবে না। অভিযোগপত্র, এফআইআর কিংবা শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্টেও নাম গোপন রাখতে হবে।এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে লালবাজার আশা করছে, তদন্ত এবং নথিপত্র প্রস্তুতের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা এবং পেশাদারিত্ব বজায় থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর