ব্যুরো নিউজ,১১ ডিসেম্বর:মন্দারমণি সমুদ্র সৈকতে বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা প্রায় ১৪০টি হোটেল, লজ, এবং রিসর্ট ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। তবে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেই প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মঙ্গলবার জানিয়েছেন আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আর্জিতে হাইকোর্টে সওয়াল আইনজীবীদের
পরবর্তী শুনানি হবে কবে ?
এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ জানুয়ারি। এর আগে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে মন্দারমণির উপকূল বিধি লঙ্ঘন করে নির্মিত এসব হোটেল ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ আসে। জেলা প্রশাসন সেই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য ১১ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। তবে এই নির্দেশে স্থানীয় হোটেল মালিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন।বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছিল মন্দারমণি এবং সংলগ্ন চারটি মৌজায় বেআইনিভাবে এসব হোটেল ও রিসর্ট গড়ে তোলা হয়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই এই নির্দেশের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে অসন্তোষ জানান।
ভারতের জলসীমায় বাংলাদেশি ট্রলার আটক, ৭৮ মৎস্যজীবী গ্রেফতার
হোটেল মালিকদের সংগঠন এই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা গত ২২ নভেম্বর জেলাশাসকের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন যা ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর ছিল। তবে বিচারপতি সিনহা বর্তমানে আন্দামান সার্কিট বেঞ্চে থাকায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এই মামলার অস্থায়ী শুনানি পরিচালনা করেন।এই স্থগিতাদেশের ফলে হোটেল এবং রিসর্ট মালিকদের কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। তবে আগামী শুনানি পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও কার্যক্রম নেওয়া যাবে না। মামলাকারীদের পক্ষে সওয়াল করছেন তৃণমূল সাংসদ ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।