ব্যুরো নিউজ ২০ নভেম্বর : মন্দারমণির সমুদ্রপাড়ে হোটেল ভাঙার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করলেন হোটেল মালিকরা। তাদের দাবি সমস্ত প্রশাসনিক অনুমতি নিয়েই এই হোটেলগুলো চালু করা হয়েছিল। এখন তা বেআইনি ঘোষণা করে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত যথার্থ নয়।
উত্তর ব্যারাকপুরে ভাইস চেয়ারম্যানের রহস্যমৃত্যুঃ সুইসাইড নোটের সূত্রে গ্রেফতার এক মহিলা
বুলডোজার কোনও সমাধান নয় বললেন মুখ্যমন্ত্রী
মন্দারমণি পর্যটনকেন্দ্রে একের পর এক হোটেল গড়ে উঠেছে । যার অনেকটাই সমুদ্রপাড় দখল করে তৈরি। সমুদ্রের সঙ্গে প্রাচীর গড়ে পর্যটকদের জন্য বিলাসবহুল ব্যবস্থা করেছে এই হোটেলগুলো। পরিবেশবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ২০ নভেম্বরের মধ্যে শতাধিক ‘বেআইনি’ হোটেল ও নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে।তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে চাপে রাজ্য প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টই জানান “বুলডোজার কোনও সমাধান নয়। কোনওরকম বুলডোজার চলবে না।” তিনি দ্রুত হোটেল মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন। বুধবার হোটেল মালিকরা কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করেন। তাদের দাবি “এই হোটেলগুলোর মাধ্যমে আমাদের আয়ের উৎস তৈরি হয়েছে। এই উপার্জনে কয়েক হাজার পরিবারের জীবনধারণ হয়। আমরা হোটেল নির্মাণের আগে প্রশাসনের সব নিয়ম মেনেছি। এখন এগুলো বেআইনি ঘোষণা করা ভুল পদক্ষেপ।”
বাংলাদেশে মুক্তি পেতে চলেছে ‘বহুরূপী’ জানালেন পরিচালক শিবপ্রসাদ!
পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। একদিকে পরিবেশ রক্ষার দাবি, অন্যদিকে পর্যটনকেন্দ্রের উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনধারণের বিষয়টি উঠে এসেছে। পরিবেশবিধি মেনে হোটেলগুলোর পুনর্বাসন বা সমস্যার সমাধানের পথ কী হতে পারে, তা নিয়ে শীর্ষ আদালতের রায়ের দিকেই তাকিয়ে সবাই।