mahalaya-gandhi-jayanti-political-tension-bengal

ব্যুরো নিউজ ২ অক্টোবর :আজ মহালয়া, পিতৃপক্ষের অবসান এবং দেবীপক্ষের সূচনার দিন। সকাল থেকে বিভিন্ন ঘাটে তর্পণ চলছে, আর মাত্র এক সপ্তাহ পর শুরু হবে শারদ উৎসব। তবে এই আনন্দের আবহের মধ্যেই রাজ্যে বাড়ছে অনাহার ও পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আজ গান্ধী জয়ন্তীর দিন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি এভাবে মন্তব্য করলেন।

মহালয়াঃ বন্যা পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতার উদ্বোধন সঙ্গে সতর্কতা

রাজ্যপাল বনাম তৃণমূল

রাজ্যপাল জানান, “এমন পবিত্র দিনে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। আমাদের আত্মসমালোচনা করা উচিত। খবর পাই, মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে এবং বাংলায় পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। কর্মসংস্থান কমছে। সভ্য সমাজে এ ধরনের ঘটনা ঘটা উচিত নয়, যা গান্ধীজি চাননি। রাজ্য সরকারের উচিত নিশ্চিত করা, কেউ যেন না খেয়ে মারা না যায়।”রাজ্যপালের এই মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে কথা বললেন তিনি। তাঁর কথায়, “এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে বাংলায় অনাহার এবং পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন, কোনও সভ্য সমাজে এই অনাহার থাকতে পারে না। রাজ্য সরকারের উচিত এই বিষয়গুলোর দিকে নজর দেওয়া।”রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের এই বক্তব্যের পর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পাল্টা প্রতিক্রিয়া এসেছে। তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী রাজ্যপালকে আক্রমণ করে বলেন, “মহাত্মা গান্ধী যদি আজ থাকতেন, তাহলে কি তিনি চানতেন কেন্দ্রীয় সরকার মনরেগা প্রকল্পের টাকা আটকে রাখুক? আড়াই বছর কাজ করার পরও শ্রমিকরা টাকা পাচ্ছেন না। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করতে বলুন, গান্ধী মূর্তিতে মালা দেওয়ায় কিছু হয় না। গডসের জন্মদিনেও কি তিনি মালা দেবেন?

সিবিআইয়ের জেরায় অসহযোগিতাঃসন্দীপ ও অভিজিতের নতুন নাটক

এদিকে, রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সংঘাত নতুন কিছু নয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মধ্যে টানাপড়েন লেগেই রয়েছে। ইতিমধ্যে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছেছে, যেখানে রাজ্যপালকে ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছে। বিধানসভার বিল সই করার জটিলতা এখনো মেটেনি।

 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর