ব্যুরো নিউজ,২০ ফেব্রুয়ারি :মহাশিবরাত্রি, যা শিবের পূজার বিশেষ রাত হিসেবে পরিচিত, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব এবং শিবভক্তদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র দিন। এই দিনটি শিবের আরাধনায় নিবেদিত, যা একদিকে শিবের মহিমা প্রচার করে, অন্যদিকে ভক্তদের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মহাশিবরাত্রি মূলত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হয়, হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ফাল্গুন বা মাঘ মাসের চতুর্দশী তিথিতে। ২০২৫ সালে মহাশিবরাত্রি পালিত হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার।
গুরু-বুধের কেন্দ্রযোগঃ ২১ ফেব্রুয়ারিতে ৩ রাশিতে বিশেষ প্রভাব, জেনে নিন কাদের ভাগ্য খুলবে!
মহাশিবরাত্রির গুরুত্ব
মহাশিবরাত্রি শুধুমাত্র একটি পূজা বা উৎসব নয়, এটি শিবের সঙ্গে আধ্যাত্মিক সম্পর্ক গড়ার একটি সুযোগও। এই দিনটি শিবের অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে জ্ঞানের আলোর দিকে পথ প্রদর্শন করার প্রতীক। মহাশিবরাত্রি পালন করার ফলে, ভক্তরা শিবের আশীর্বাদ লাভ করেন এবং নিজেদের জীবন থেকে সমস্ত দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে পারেন।
২০২৫ সালের মহাশিবরাত্রি পূজার সময়সূচী
মহাশিবরাত্রির পূজা ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে শুরু হবে এবং রাতভর বিভিন্ন পূজা-অর্চনা চলবে। শিবরাত্রির আচার-অনুষ্ঠান শুরু হবে নিশিতা কাল পূজা দিয়ে, যা ১২:০৯ AM থেকে ১২:৫৯ AM পর্যন্ত, ২৭ ফেব্রুয়ারি হবে। এছাড়া শিবরাত্রি পারানা, অর্থাৎ উপবাস ভঙ্গ করার সময় ২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭:৩৬ AM হবে।
মহা শিবরাত্রিতে শিবলিঙ্গে কি কি নিবেদন ভুলেও করবেন না রইল সাবধান হওয়ার টিপস
মহাশিবরাত্রির পূজা এবং আচার
মহাশিবরাত্রির পূজার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল শিবলিঙ্গের প্রতি নিবেদিত পূজা। ভক্তরা শিবলিঙ্গকে ফুল, বেল পাতা দিয়ে সজ্জিত করেন এবং শিবের পক্ষে উপহারের মধ্যে ভাং, মিষ্টি, ফল, ঘি, দুধ প্রভৃতি নিবেদন করেন। সকালে স্নান করার পর, ভক্তরা মন্দিরে গিয়ে শিবের কাছে প্রার্থনা করেন।
এদিন রাতে, বিশেষ পূজায় ভক্তরা মন্দিরে গিয়ে শিবলিঙ্গের আরাধনা করেন। মন্দিরে প্রদীপ জ্বালানো হয় এবং রাতভর ভক্তরা মন্দিরে থেকে শিবের নাম জপ করেন। বিভিন্ন মন্দিরে শিব ও পার্বতীর যাত্রা বের করা হয়।
মহাশিবরাত্রির উপবাস সাধারণত তেমন কোন কঠোর খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে থাকে না, তবে এটি থাকে এক ধরনের সৎত্মিক খাবার, যেখানে ফল, মিষ্টি এবং শুকনো খাবার পরিবেশন করা হয়। শেষে, ভক্তরা শিবের প্রসাদ গ্রহণ করেন।
মহাশিবরাত্রির আধ্যাত্মিক উপকারিতা
মহাশিবরাত্রি পালন করলে শুধু শিবের আশীর্বাদ পাওয়া যায় না, বরং এটি আত্মিক উন্নতির পথও প্রশস্ত করে। এই দিনে শিবের পূজা করে ভক্তরা মন ও চিত্তের প্রশান্তি লাভ করেন এবং নিজেদের জীবনে শাস্তি ও দুর্দশা দূর করে নতুন পথের সূচনা করেন।