ব্যুরো নিউজ,১৫ জানুয়ারি:প্রতি ১২ বছর পর অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভ মেলায় সারা বিশ্ব থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্তকে আকর্ষণ করে। প্রয়াগরাজে ২০২৫ সালের মহাকুম্ভ মেলা ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এবং প্রায় ৪৪ দিন ধরে চলবে, যা শেষ হবে মহা শিবরাত্রির দিনে, ২৬ ফেব্রুয়ারি। মহাকুম্ভের এক গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ হল নাগা সাধুরা, যারা বিশেষভাবে এই পবিত্র স্নানে অংশগ্রহণ করেন।
চন্দ্রমৌলি বিশ্বাসের মৃত্যুতে রূপমের স্ত্রী কি বললেন?
কি করেন তাঁরা?
নাগা সাধুরা প্রথা অনুসারে মহাকুম্ভের প্রথম স্নান করেন। এঁদের ধর্মীয় আনুগত্য এবং তপস্যার প্রতি নিষ্ঠার জন্য তাঁরা রাজকীয় স্নানে প্রথম অংশ নিতে সক্ষম হন। তবে, এই স্নান শুরু করার আগে তাঁরা ১৭টি বিশেষ শৃঙ্গার করেন। এসব শৃঙ্গার মূলত তাঁদের আধ্যাত্মিক শক্তি ও সাধনার প্রতীক। নাগা সাধুরা এই শৃঙ্গার সম্পন্ন করার পরই নদীতে স্নান করেন।নাগা সাধুদের ১৭ শৃঙ্গারের মধ্যে রয়েছে: ভভূত, কটি কাপড়, চন্দন, পাদপীঠ (রূপা বা লোহার), পঞ্চকেশ, আংটি, ফুলের মালা, হাতে চিমটা, কপালে কুমকুম বা রোলির পেস্ট, ডমরু, কমন্ডল, বিনুনি দিয়ে জটানো চুল, তিলক, কাজল, হাতের ব্রেসলেট, বিভূতির লেপ এবং রুদ্রাক্ষ। এই ১৭টি শৃঙ্গারের মধ্যে প্রতিটি জিনিসের নিজস্ব আধ্যাত্মিক গুরুত্ব রয়েছে, যা তাদের আধ্যাত্মিক সাধনার সাথে সম্পর্কিত।
গঙ্গাসাগর বনাম কুম্ভ মেলাঃ পূণ্যার্থীদের ভিড়ে কে কতটা এগিয়ে?
এছাড়া, নাগা সাধুরা তাদের ১২ বছরের কঠোর তপস্যার পর দীক্ষা লাভ করেন। মহাকুম্ভ মেলা উপলক্ষে তাদের এই সাধনা পূর্ণতা লাভ করে এবং তারা শুদ্ধ হয়ে স্নানে অংশ নেন।এ বছর প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ কোটি ভক্ত মহাকুম্ভে স্নান করতে প্রয়াগরাজে পৌঁছেছেন। তাদের জন্য নিরাপত্তা ও অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে যাতে মেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।