ব্যুরো নিউজ,১৪ জানুয়ারি:মহাকুম্ভ মেলা শুধু ধর্মীয় আধ্যাত্মিকতার জন্য বিখ্যাত নয়, এটি এক অভূতপূর্ব দৃশ্যপটে পরিণত হয়, যেখানে দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা সাধু-সন্তরা আধ্যাত্মিক আলো ছড়িয়ে দেন। কিন্তু তাদের আধ্যাত্মিকতা ছাড়াও, এবার নজর কাড়ছে তাঁদের বিলাসবহুল সওয়ারি গাড়ি। শোনা যাচ্ছে, বহু সাধু মহাকুম্ভে এসেছেন মার্সিডিজ বেঞ্চ, রোলস রয়েস, ল্যান্ড রোভার ডিফেন্ডার, অডি, এমনকি হুন্ডাই ক্রেটা, ফোর্ড এনডেভর, টয়োটা ফরচুনা এবং ইনোভা গাড়ি চালিয়ে। এই সব গাড়ি স্থান পেয়েছে পুণ্যার্থীদের জন্য তৈরি করা অস্থায়ী তাঁবুদের কাছেই, যেগুলির পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে রাস্তা।
সাইবার অপরাধের জাল: ডিজিটাল যুগে সতর্কতা কীভাবে আমাদের রক্ষা করতে পারে
কি কারণ?
এক নজরে দেখে, এই সমস্ত দামি গাড়ির উপস্থিতি সাধারণ পুণ্যার্থীদের কাছে এক আশ্চর্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।অনেক সময়, এই গাড়িগুলির মালিকানা সাধুদের ভক্তরা দেন, বা তাদের নামে বিশেষ অর্ডারেও এসব গাড়ি কেনা হয়। গাড়িগুলির নেমপ্লেট দেখলেই বুঝা যায়, এসব গাড়ির মালিকরা কোনও ধর্মীয় সংগঠনের বড় পদে রয়েছেন, যেমন পীতধীশ্বর, মহা মণ্ডলেশ্বর বা মহন্ত। বিশেষভাবে, এই গাড়িগুলির বেশিরভাগই সাদা বা গেরুয়া রঙের, যা হিন্দু ধর্মের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। তবে, এটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়, যে এসব বিলাসবহুল গাড়ি সাধুদের সর্বত্যাগী জীবনধারার সাথে একেবারেই খাপ খায় না।এটি সবার কাছে স্পষ্ট যে, সাধুদের অধিকাংশই বিলাসিতা বা ঐশ্বর্যের প্রকাশ পছন্দ করেন না। তবে, তারা এই বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে চান না।
আলুর ফলনের উন্নতিতে মদ স্প্রে? অদ্ভুত পদ্ধতি কৃষকদের
অনেক সাধু জানাচ্ছেন, বেশ কিছু আখারাতে এই ধরনের দামি গাড়ি থাকে এবং সেখানকার সাধুরাই সেগুলি ব্যবহার করেন। আবার, অনেক সময় ভক্তরা নিজ উদ্যোগে এই গাড়ি দেন।যদিও মহাকুম্ভ মেলা মূলত আধ্যাত্মিক সাধনা ও পুণ্যস্নানের জন্য পরিচিত, তবে সেখানে এমন বিলাসী গাড়ির উপস্থিতি অনেকের কাছে প্রশ্ন তুলে। সাধুদের আধ্যাত্মিকতার মূল বিষয় হলো সততা ও নির্লিপ্ততা, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই চিত্র কিছুটা ম্লান হয়ে পড়েছে। তবে, এটি এখনও নিশ্চিত যে, মহাকুম্ভ মেলা একটি বিশাল আধ্যাত্মিক উৎসব, যেখানে বিশ্বাস এবং পুণ্যস্নানের মিশ্রণে সব কিছু ঘটছে।