ব্যুরো নিউজ,১০ ফেব্রুয়ারি :প্রয়াগরাজে চলমান কুম্ভমেলায় ফের আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও গত জানুয়ারিতে কুম্ভমেলার ১৯ নম্বর সেক্টরে আগুন লেগে বেশ কিছু তাঁবু পুড়ে গিয়েছিল। সেই আতঙ্কের রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার দুপুরে আবারও একই সেক্টরে আগুনের ঘটনা ঘটে। যদিও এই বার একটিমাত্র তাঁবু পুড়ে গেছে এবং কেউ আহত হননি, তবে আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর পরপর দু’দেশ সফরঃ ফ্রান্স ও আমেরিকায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
কারণ
প্রাথমিকভাবে দমকলের অনুমান, ওই তাঁবুর মধ্যে থাকা একটি গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিক হয়ে আগুন লেগে থাকতে পারে। আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্রই দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দমকল কর্মীরা মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি করেছেন।কুম্ভমেলার প্রাঙ্গণে প্রচুর অস্থায়ী তাঁবু এবং থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি অংশে ‘কল্পবাসী টাউনশিপ’ রয়েছে, যেখানে অনেক পুণ্যার্থী তাদের আধ্যাত্মিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেন। সেখানে একটি তাঁবুতে আগুন লাগে। কুম্ভমেলার মুখ্য দমকল আধিকারিক প্রমোদ শর্মা জানিয়েছেন, তাঁবুটিতে আগুন লাগার খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন পাঠানো হয়।
তবে, এবার আগুনের তীব্রতা আগের মতো ছিল না এবং দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।এর আগে, গত ১৯ জানুয়ারি কুম্ভমেলার ১৯ নম্বর সেক্টরে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লাগলে এক ডজনেরও বেশি তাঁবু পুড়ে যায়। আর ২৫ জানুয়ারি ফের ২ নম্বর সেক্টরে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি গাড়িতে আগুন লাগে। এর পরের দিন, ২৭ জানুয়ারি ১৮ নম্বর সেক্টরে ইসকনের তাঁবুতে আগুন লেগে অন্তত ২০টি তাঁবু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ধরনের পরপর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটার পর উত্তরপ্রদেশ সরকারের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ছুরির কোপে গুরুতর আহত কিন্তু পাঁচ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন সইফঃ রহস্য কি?
কুম্ভমেলা চলতে থাকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। এত বড় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং আগুন নিবারণের ব্যবস্থায় কেন এত ঘাটতি, তা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। এ সমস্ত ঘটনা প্রশাসনের প্রস্তুতি নিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা তৈরি করেছে।